কর্ণাটক মন্ত্রিসভার শপথে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকে পাঠাচ্ছেন দক্ষিণে?

কর্ণাটক মন্ত্রিসভার শপথে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকে পাঠাচ্ছেন দক্ষিণে?

‘‌তোমার ডাকে সাড়া দিতে বয়েই গেছে’—বাংলা গানের এই লাইনটি যেন আজ জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। কারণ ‌কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কর্নাটকে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। যদিও তিনি সেখানে যাচ্ছেন না। তাই কংগ্রেসের ডাকে তৃণমূল সাড়া দিল না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে একেবারে ফেলেও দেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। আর তিনি জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ করবেন সিদ্দারামাইয়া। সেই অনুষ্ঠানে দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজ্যে বিরোধ থাকলেও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে আজ, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, বেঙ্গালুরুতে শনিবারের শপথে তাঁদের দলের প্রতিনিধি হিসাবে হাজির থাকবেন লোকসভার সহকারী দলনেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদার। টুইট করে এই খবর জানান তিনি।

ঠিক কী লিখেছেন টুইটে?‌ অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে চাইছে কংগ্রেস। তবে এদিন টুইটারে ডেরেক লেখেন, ‘কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং তাঁর অন্য সহকর্মীরা সর্বভারতীয় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামিকালের (শনিবার) শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শপথের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য লোকসভায় তৃণমূলের সহকারী দলনেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদারকে প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করেছেন।’

কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের জোট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি সর্বভারতীয় স্তরে জোটের পক্ষে সওয়াল করেন। তবে বাংলায় কংগ্রেসকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করেন। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, রাজ্যে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবেন। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকে স্বয়ং উপস্থিত না থেকে প্রতিনিধি পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কংগ্রেস এবং তার সহযোগী ডিএমকে, এনসিপি, জেডিইউ, আরজেডির মতো দলগুলির নেতাদের শপথ অনুষ্ঠানে দেখা যাবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)