এগরা বিস্ফোরণ,পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, জানতে চাইল মানবাধিকার কমিশন

এগরা বিস্ফোরণ,পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, জানতে চাইল মানবাধিকার কমিশন

এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে আবার নয়া মোড়। এবার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে রাজ্য় সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সব মিলিয়ে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডকে ঘিরে যখন নানা প্রশ্ন উঠছে। তখনই এবার মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকারের কাছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনের কাছে। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্য়েই ডিজি ও মুখ্য়সচিবের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন। মূলত এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ, স্থানীয় থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একেবারে এগরাতে গিয়ে পুলিশকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে, পুলিশের কী ধরণের ভূমিকা ছিল তা নিয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন।

তবে এগরা বিস্ফোরণ রাজ্য সরকারকে কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সকলের চোখের সামনে দিনের পর দিন ধরে এই কাজ হয়েছে। অথচ পুলিশ কিছুই জানল না? তবে কি ওদের সঙ্গে পুলিশের কোনও গোপন বোঝাপড়া ছিল?

এনিয়ে গোটা বাংলা তোলপাড়। তার মধ্য়েই এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও জানতে চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তবে এবার এগরা কাণ্ড নিয়ে কমিশনের কাছে কী সাফাই দেয় রাজ্য় সরকার সেটাই এখন দেখার।

এদিকে সূত্রের খবর, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন বিস্ফোরণের ধারা দেওয়া হয়নি তা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, পাড়ায় মারপিট হলেও তো এর চেয়ে কঠিন ধারা দেয় পুলিশ। তবে এবার আরও নতুন ধারা যুক্ত করেছে সিআইডি।

তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্য়াক্ট ১৯০৮ এর কোনও ধারা যুক্ত করা হয়নি। কিন্তু আদালতের অনুমতি নিয়ে সিআইডি তিনটি নতুন ধারা যুক্ত করেছে। একটি হল খুন, খুনের চেষ্টা ও দ্য় এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট ১৮৮৮৪ এর ৯বি ধারা যোগ করা হয়েছে।

তবে এবার তদন্ত কতটা মোড় নেয়, এখানে বাজি নাকি পঞ্চায়েতের আগে বোমা তৈরি হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)