ASI কাণ্ডে বিরাট তথ্য ফাঁস! ৪টি ‘বেনামি’ অ্যাকাউন্ট খুলে চাকরির নামে দেদার লুট

ASI কাণ্ডে বিরাট তথ্য ফাঁস! ৪টি ‘বেনামি’ অ্যাকাউন্ট খুলে চাকরির নামে দেদার লুট

কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নাম করে টাকা তুলে প্রতারণাকাণ্ডে নজরে আরও চার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যেখানে চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছেন প্রতারিতরা। এই চারটি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পর টাকা তুলে নিয়েছিলেন অভিযুক্ত এএসআই সঞ্জীব দেঁড়ে। যিনি বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। ওই চার অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রতারিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের কাছে থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে এই চক্র। এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। চারটি অ্যাকাউন্ট ছাড়াও নগদে টাকা নেওয়া হয়েছে কি না খতিয়ে দেখেছে লালবাজার।

এএসআই সঞ্জীব, সিভিক ভলান্টিয়ার সৈকত দে ওরফে টিটু ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পুলিশের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই চক্রে যোগ থাকতে পারে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের একাংশের। তাই ধৃত চারজনকে আজ, রবিবার আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, এএসআই সঞ্জীব, তাঁর স্ত্রী বর্ণালি, তাদের এজেন্ট ও সিভিক ভলান্টিয়র সৈকতের ২৯ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি চিটিং সেকশনে অভিযোগ আসে মন্ত্রীর কোটায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরি মেলেনি, ফেরত আসেনি টাকা। এই অভিযোগ পেয়ে খোঁজ শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করেন এক মহিলা।

তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় এএসআই সঞ্জীব ও তাঁর স্ত্রীকে। এরপর পুলিশের জালে আসে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক এজেন্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় বছর খানেক ধরে চলছিল এই চক্র। ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নকল নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও।

(Feed Source: news18.com)