এগরার পর বজবজ…! বিস্ফোরণ-স্থলে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! টোটো-লরি ভর্তি এগুলো কী?

এগরার পর বজবজ…! বিস্ফোরণ-স্থলে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! টোটো-লরি ভর্তি এগুলো কী?

বজবজ: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বজবজ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে টালমাটাল বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এরইমধ্যে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ঝলসে যায় একাধিক ব্যক্তি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে একটি দোতলা বাড়ির অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ধসে মাটিতে পড়ে যায়। চারিদিক ধ্বংসস্তূপ, লন্ডভন্ড।

সূত্রের খবর, অন্তত পক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। মৃত্যু হয়েছে এক মা ও মেয়ের। বজবজে গ্রাউন্ড জিরোয় ইতিমধ্যেই নিউজ18 বাংলা। সেখানে বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির ভিতরে এখনও রাখা প্রচুর বারুদ, বাজি তৈরির মশলা। গোডাউনে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা নেই এমনকি আলো বাতাস ঢোকার জায়গা নেই। বাড়ির ভিতরে বাজির সঙ্গে মজুত গ্যাস সিলিন্ডারও।

সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। তারপরই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। খবর পেয়ে দমকল পৌঁছলেও চাপা রাস্তা দিয়ে পৌঁছতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে যা মিলল তাতে চোখ কপালে সকলের।

বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমানে শব্দবাজি। যেখানে রাজ্যে শব্দবাজি নিষিদ্ধ সেখানে কী ভাবে পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এত শব্দ বাজি মজুত করা হচ্ছিল সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি সেই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বারুদ, সুতুলি দড়ি জাতীয় উপাদানও। যেই বাড়িতে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির দোতলার উপর বাজির গোডাউন তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে সত্যিই সেখানে শব্দ বাজি তৈরি হত নাকি তার আড়ালেই রমরমিয়ে চলত বোমার কারবার সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

(Feed Source: news18.com)