‘২ হাজারের নোট বাতিলে কালো টাকার বাড়বাড়ন্ত হবে’ বড় দাবি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর

‘২ হাজারের নোট বাতিলে কালো টাকার বাড়বাড়ন্ত হবে’ বড় দাবি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর

 নয়াদিল্লি :  কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত কালো টাকার বাড়বাড়ন্ত করবে বলে আশঙ্কা করলেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের কাছে ২০০০ টাকার নোট সাধারণ মানুষের কাছে থাকে না। কারণ সেই নোট সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কোনও কাজে আসে না। কালো টাকার মালিকদের কাছেই ২০০০ টাকার নোট থাকে বলে দাবি করেছেন তিনি।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি, ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, ‘‘২০০০ টাকার নোট বদল করতে কোনও প্রমাণ, পরিচয়পত্র লাগবে না। কালো টাকা ধ্বংস করতে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার বলে বিজেপির দাবি নস্যাৎ। সাধারণ মানুষের কাছে ২০০০ টাকার নোট নেই। নোট বাতিলের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট এড়িয়ে চলেন সাধারণ মানুষ। নিত্যদিনের কেনাকাটার কাজে লাগে না এই নোট। কারা ২০০০ নোট ব্যবহার করেন?”

তাঁর বক্তব্য, তিনি লিখেছেন, ” ২০০০ টাকার নোটের মালিকদের লাল কার্পেট পেতে নোট বদল করার আহ্বান  জানানো হয়েছে। ” চিদম্বরমের মতে, ২০১৬ সালে ২০০০ নোট চালু করা বোকামি ছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী লেখেন, “আমি আনন্দিত যে, অন্তত ৭ বছর পর এই বোকামির কাজ প্রত্যাহার হয়েছে।”

অন্যদিকে আজ ২ হাজার টাকার নোট বাতিল নিয়ে ছড়িয়ে পড়ার জবাব দেব রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে ভিড় করার প্রয়োজন নেই৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তা আরও জানিয়েছেন, এ ভাবে বাজার থেকে নির্দিষ্ট একটি সিরিজ বা মূ্ল্যের পুরনো নোট প্রত্যাহার করে নেওয়া নতুন কিছু নয়৷ ফলে অযথা এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছুই নেই৷

তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে ২০০০ টাকার নোট বদলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে কোনও বদল হচ্ছে না৷ পরিস্থিতি বিচার করে এই সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস৷ গত শনিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে৷ আজ, ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলে নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷ তবে একবারে ২০ হাজার টাকার বেশি বদল করা যাবে না৷

(Feed Source: news18.com)