জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিনটিনের স্রষ্টার মতো এত বহুচর্চিত চরিত্র কার্টুনদুনিয়ায় খুব কমই আছে। ১৯৮৩ সালের ৩ মে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান আরজে। তিনি চলে গিয়েছেন, রেখে গিয়েছেন টিনটিনের দুঃসাহসী অভিযানের বিস্ময়কর জগত! আজ, ২২ মে তাঁর জন্মদিন। দেখে নেওয়া যাক তাঁর সম্বন্ধে বিরল কিছু তথ্য।
জর্জেস প্রসপার রেমি। পরিচিত ‘হার্জ’ নামে। আরজে নামেও। তাঁর ফার্স্টনেম জর্জের (George) প্রথম অক্ষর G এবং লাস্টনেম রেমির (Remi) প্রথম অক্ষর R-কে উল্টো করে ‘RG’ করলেন তিনি। পরে এই দুই অক্ষর থেকেই চলে এল Herge নামটি!
নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে যাওয়ার পনেরো বছর আগেই চাঁদে প্রথম পা দেওয়া প্রথম কার্টুন-মানুষ হলেন টিনটিন। ১৯৫৪ সালে দুঃসাহসী টিনটিনের বিখ্যাত সব অভিযানের ১৭তম কমিক বই ‘চাঁদে টিনটিন’। এই গল্পেই চাঁদের প্রসঙ্গ ওঠে।
টিনটিনের নিত্যসঙ্গী ও পোষা কুকুর স্নোয়ি’র নাম মূল সংস্করণে ছিল ‘মিলোউ’ (Milou)। ‘মিলোউ’ নামটি হার্জ ধার করেছেন তাঁর প্রথম প্রেমিকার থেকে। তাঁর প্রথম প্রেমিকা মেরি-লুই ভ্যান কাস্টেম’কে (Marie-Louise Van Cutsem) তিনি ভালোবেসে ‘মিলোউ’ বলে ডাকতেন!
কমিকস রচনা করতে গিয়ে হার্জ টিনটিনকে বিশ্বের কত জায়গায় যে ঘুরিয়েছেন! আশ্চর্য যে, তিনি নিজে কিন্তু প্রায় কোনও জায়গাতেই যাননি। সংশ্লিষ্ট জায়গায় না পৌঁছে সেখানে অভিযানের প্লট রচনা করা কি চাট্টিখানি কথা?
সবচেয়ে বড় কথা যে, বড় স্রষ্টার মতো নিজের শিল্পের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। টিনটিন সিরিজের নানা চরিত্রে নাকি দেখা পাওয়া যায় স্বয়ং আরজে’র!
শোনা যায়, সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পারলেও হার্জ নাকি কোনওদিনই বিষণ্ণতার হাত থেকে মুক্তি পাননি। হার্জ নিজেও মনে করতেন যে, তিনি তাঁর নিজের সাফল্যেরই দাস। তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই এই ইঙ্গিত আছে। ১৯৪৭ সালে তিনি একটি ছবি এঁকেছিলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি বসে আছেন এক অগোছালো কাগজভর্তি একটি টেবিলের সামনে। আর চাবুক হাতে নিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে টিনটিন। ক্রোধে ফেটে পড়েছে টিনটিন।
(Feed Source: zeenews.com)