‘লঙ্কার গুঁড়ো’, ‘লাল পাউডার’, ‘চায়না বারুদ’! এগরা-বজবজ কাণ্ডে নজরে এরা ‘কারা’?

‘লঙ্কার গুঁড়ো’, ‘লাল পাউডার’, ‘চায়না বারুদ’! এগরা-বজবজ কাণ্ডে নজরে এরা ‘কারা’?

কলকাতা : এগরার বিস্ফোরণের ঘটনার পরই হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানা অন্তর্গত চিংড়িপোতা গ্রামে বাজির বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এই ঘটনার পরই পুলিশ সক্রিয়ভাবে চিংড়িপোতা গ্রামের সমস্ত বাজির দোকানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে ইতিমধ্যেই।

এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের নজরে চায়না বারুদ। পশ্চিমবঙ্গে বাজি এবং অবৈধ কারবারীরা এই বারুদের সঙ্গে অনেক আগের থেকেই পরিচিত হয়েছিলেন। অতীতেও একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত করে উঠে এসেছে এই বারুদের নাম।

বেশ কিছু বছর আগে নৈহাটি বিস্ফোরণ অথবা রাজ্যের বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় এই বারুদের যোগ মিলেছে এমনটাই গোয়েন্দার সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে মূলত এই চায়না বারুদ বিহার রাজ্য থেকে এ রাজ্যে দেদার এবং বিপুল পরিমাণে প্রবেশ করছে। এই বারুদের দাম অত্যন্ত কম কিন্তু এই বারুদের কাজ বা তীব্রতা অনেকটাই বেশি। পুলিশ সূত্রে খবর মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা দিলেই পেয়ে যাবে এক কিলো চায়না বারুদ।

আদতে বাজি এবং অবৈধ কারবারিদের কাছে এই বারুদ এর নাম বিভিন্ন রকম। বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সংকেতিক নাম ব্যবহার করা হয় এই বারুদের। দক্ষিণবঙ্গের দুটি জেলায় এই বারুদকে লঙ্কার গুঁড়ো বলা হয়। অপরদিকে মুর্শিদাবাদ মালদহতে এই বারুদকে লাল পাউডার বলা হয়। তবে এই বারুদের রং আদতে সম্পূর্ণ লাল নয় কিছুটা গেরুয়া ভাব থাকে এই বারুদে। পরপর দুটি ঘটনার পরই এই বারুদ নিয়ে সতর্ক পুলিশ এবং গোয়েন্দা। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের তরফ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সীমানা থাকা এলাকাগুলি তে বিশেষ নজরদারি এবং নাকা চেকিং চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের তরফ থেকে।

মূলত বিহার থেকে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে কখনও ট্রেনে কখনও বা ট্রাক অথবা মোটরসাইকেলে করেও এই বারুদ এরাজ্যে প্রবেশ করছে। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান যে এই বারুদের তীব্রতা এবং আওয়াজ এতটাই বেশি যার কারণে দুষ্কৃতিদেরও প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে এই ‘চায়না বারুদ’। আগের থেকেই এই চায়না বারুদে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে পাশাপাশি এক কিলোগ্রাম চায়না বারুদ দিয়ে প্রায় ৮ থেকে ৯টি বোমা তৈরি করা যায়। ইতিমধ্যেই এই দুই ঘটনার পরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে বিশেষ পুলিশি অভিযান করা হচ্ছে ইতিমধ্যে, পাশাপাশি এই কারবারের সাথে যুক্ত থাকা বেশ কিছু ব্যক্তিদের কেউ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে গোয়েন্দারা এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।

(Feed Source: news18.com)