চাকরি বাঁচাতে এবার সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষকরা, ৩২ হাজার বাতিলকে চ্যালেঞ্জ

চাকরি বাঁচাতে এবার সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষকরা, ৩২ হাজার বাতিলকে চ্যালেঞ্জ

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল গোটা বাংলায়। শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এই নির্দেশ। তবে এবার চাকরি বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা।

এদিকে এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চাকরিহারারা। কিন্তু সেখানেও গিয়েও পুরোপুরি স্বস্তি মিলেছিল এমনটা নয়। সেখানে একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই ৩২ হাজার শিক্ষককে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল।

এদিকে এই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে একেবারেই রাজি নন শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। এবার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গেলেন।

এদিকে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তারা আবার মামলাটি শুনবেন। তবে তাঁদের চাকরি এখনই যাচ্ছে না। তার আগে অগস্ট মাসের মধ্য়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে। তবে এবার মামলা সুপ্রিম কোর্টে। সেক্ষেত্রে এবার মূলত দুটি প্রশ্ন উঠছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া কি হবে নাকি আটকে যাবে? ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক কি তাঁদের চাকরি বাঁচাতে পারবেন? তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে ওই শিক্ষক শিক্ষিকারা।

এদিকে মূূলত অ্যাপ্টিটিউট টেস্টকে ঘিরেই গোলমালটা বেঁধেছিল। একাধিক জেলায় যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের জিজ্ঞাসা করে আদালত জানতে পেরেছিল ওই পরীক্ষায় যথাযথ অ্য়াপ্টিটিউড টেস্টই হয়নি। কী বলা হয়েছিল সেই নির্দেশে?

প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের নিয়োগের মধ্য়ে থেকে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। আগামী তিন মাসের প্রাথমিকে নতুন করে নিয়োগ করা হবে। জানিয়েছিল আদালত। তবে পরে প্রশিক্ষণহীনদের সংখ্যাটা কিছুটা সংশোধন করে নেওয়া হয়।

তবে নির্দেশে বলা হয়েছিল এখনই তাদের চাকরি পুরোপুরি যাচ্ছে না। আপাতত আগামী চারমাস তারা স্কুলে যেতে পারবেন। কিন্তু তাঁরা পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হিসাবে থাকতে পারবেন না। তাঁরা মূলত পার্শ্ব সময়ের শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন। তবে এবার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে।

(Feed Source: hindustantimes.com)