রাষ্ট্রপতিকে উপেক্ষা?নবনির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট ২০ বিরোধী দলের

রাষ্ট্রপতিকে উপেক্ষা?নবনির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট ২০ বিরোধী দলের

নয়াদিল্লি: রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট বিরোধীদের। বুধবার ২০টি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তালিকায় রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিআই, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ মোট ২০টি দল।

নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করা নিয়ে  যৌথ বিবৃতি জারি করেছে তারা। সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ব্রাত্য রাখার বিরোধিতায় এই এই প্রতিবাদ বিরোধী শিবিরের।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সংসদের অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি, তিনি যৌথ সংসদীয় অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং সভা স্থগিত করেন। সংসদে পাস করা আইন কার্যকর করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে রাষ্ট্রপতিকে ছাড়া সংসদ অচল।”

তারপরেই রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধী শিবিরের। এ দিকে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে শিরোমণি অকালি দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেস এবং টিডিপি। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজু জনতা দল। সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই সেখানে সেঙ্গল বা রাজদণ্ড স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর হাতে এই দণ্ড তুলে দেওয়া হবে।

বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ওই দিন ঐতিহাসিক সুবর্ণ নির্মিত রাজদণ্ড স্পিকারের আসনের পাশে প্রতিস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই রাজদণ্ডের নাম ‘সেনগল’৷ তামিল শব্দ ‘সেম্মাই’ থেকে এর উৎপত্তি৷ যার অর্থ ‘ন্যায়পরায়ণতা’৷ জানা যায়, সেই চোল রাজত্বের সময় থেকেই এই ‘সেনগল’-এর ঐতিহ্য এ দেশে চলে আসছে৷ বিশেষত, দক্ষিণ ভারতে এর গুরুত্ব অপরিসীম৷ কিন্তু, সামগ্রিক ভাবে ভারতের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এর ইতিহাস৷

জানা যায়, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট রাত পৌনে ১২টা নাগাদ স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু হাতে এই রাজদণ্ড হস্তান্তরিত করেছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন৷

(Feed Source: news18.com)