অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল শুভেন্দু, কেন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ?‌

অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল শুভেন্দু, কেন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ?‌

আজ, বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, জাতীয় সড়কে অনুমতি না নিয়ে মিছিল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এমন করা হল?‌ এই প্রশ্ন তুলে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনস্বার্থ মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিকে এখন একাধিক জেলায় তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আগামী জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দুর আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। মে মাসে ইটাহার এবং ফরাক্কার জাতীয় সড়কে অনুমতি না নিয়ে অভিষেক মিছিল করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, জাতীয় সড়ক আইন অনুযায়ী, অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারে না। তাই এমন মামলা।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে হেমতাবাদ, রায়গঞ্জে জনসভা শেষে ইটাহারে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জাতীয় সড়কের রাস্তা কার্যত ভরে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের ভিড়ে। তারপর সেখান থেকে চলে যায় মিছিল। এই মিছিল দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। তবে জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই মিছিল গিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তবে এই নিয়ে এখনও তৃণমূল কংগ্রেস কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মামলা তাঁরা লড়বেন এটা স্পষ্ট। আর এই মিছিলের জন্যই মামলা হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে ছিলেন মালদা জেলায়। তারপরে ওই জাতীয় সড়ক দিয়েই মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় মিছিল নিয়ে ঢোকেন তিনি বলে বিজেপির অভিযোগ। এমনকী একাধিক জায়গায় তিনি জাতীয় সড়ক আটকে মিছিল করেন বলে বিজেপি অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। আবার শুভেন্দু অধিকারীর মালদা সভা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কারণ এখানে ২৭ মে সভা করতে চান বিরোধী দলনেতা। তার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই এটা নিয়েও মামলা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

(Feed Source: hindustantimes.com)