সদ্য প্রকাশিত ইউপিএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দুই পরীক্ষার্থীর নামের প্রথমাংশ এক ও একই রোল নম্বর হওয়ার ঘটনার জেরে একই ব়্যাঙ্কে দু’জনে দাবি জানিয়েছিলেন। বিহারের তুষার ও মধ্যপ্রদেশের আয়েশা নাম ঘিরে এই জটিলতা দেখা যায়। রাতারাতি ঘটনা খবরে আসে। তারপরই ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে পদক্ষেপ করা হয়। জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের আয়েশা মাকরানি ও বিহারের তুষার জার নথির সাহায্যে ওই ব়্যাঙ্কের দাবি করছিলেন।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের আয়েশা মাকরানি ও বিহারের তুষার দুজনেই বিশেষ রোল নম্বরকে সামনে রেখে জাল নথি দিয়ে ব়্যাঙ্ক হাতানোর চেষ্টা করেছেন। এমনই অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। ইউপিএসসির তরফে জানানো হয়েছে,’ ওই দুজনেরই দাবি ভুয়ো। তারা নিজেদের পক্ষে দাবি আনতে নথি জাল করেছেন।’ এই ঘটনা ঘটিয়ে তুষার ও আয়েশা মাকরানি ২০২২ ‘সিভিল সার্ভিস এক্সামিনেশন রুল’ বা সরকার কর্তৃক গৃহিত এই হাইপ্রোফাইল পরীক্ষার বিধি লঙ্ঘন করেছেন। আর এই বিদি লঙ্ঘনের কথা খোদ জানিয়েছে ইউপিএসসি। ফলে এবার এই দুইজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আইনি ধারায় ব্যবস্থা নিতে চলেছে ইউপিএসসি। প্রতিষ্ঠানের বিধিরক্ষা সম্পর্কিত প্যানেল এরপর এই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে মধ্যপ্রদেশের আয়েশা ফাতিমা ও আয়েশা মাকরানির রোল নম্বর একই বলে দাবি করেন দুজনেই। তবে তাঁদের মধ্যে একজনের অ্যাডমিট কার্ডে কিউইআর কোড ছিল না। অপরজনের তা ছিল। আর তা থেকেই এসেছে প্রশ্ন। তুষার নামটি ঘিরেও একই ঘটনা ঘটে বিহারে। ফলে একই নামের প্রথমাংশ ও রোল নম্বর একই, এমন বিষয়কে সামনে রেখে একটি ব়্যাঙ্কিং ঘিরে দুই পরীক্ষার্থী দাবি করেন। সেই বিষয়টি নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞই জানিয়েছিলেন যে, ইউপিএসসি এমনই একটি সিস্টেমের মধ্যে চলে যেখানে বিভ্রাটের প্রশ্নই নেই। এদিকে, একই বার্তা ইউপিএসসি নিজেও দিয়েছে। ইউপিএসসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ ইউপিএসসির সিস্টেমটি শক্তিশালী এবং সেই সঙ্গে তা বেশ বড়সড় এবং এই ধরনের ত্রুটিগুলি সম্ভব নয়।’
(Feed Source: hindustantimes.com)