মণিপুর সহিংসতা: সেনাপ্রধান জেনারেল পান্ডে আজ হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুর পৌঁছেছেন

মণিপুর সহিংসতা: সেনাপ্রধান জেনারেল পান্ডে আজ হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুর পৌঁছেছেন

সেনাপ্রধান জেনারেল পান্ডে আজ সহিংসতা কবলিত মণিপুর পৌঁছে গেছেন।

গত কয়েকদিন ধরে সহিংসতার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে মণিপুর। জাতিগত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, খুন আর কি জানি না। অবস্থা ভয়াবহ। ইন্টারনেট ডাউন। দুর্বৃত্তদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামে পাড়ি জমাচ্ছে। রাজধানী ইম্ফল থেকে 63 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত চুরাচাঁদপুর জেলা এখনও সহিংসতার কেন্দ্রস্থল। ওখানে কুকি উগ্রপন্থীরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেইতেই গ্রামবাসীদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। গতকালও কুকি উগ্রপন্থীরা মেইতেইদের ত্রিশটির ওপর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। প্রচুর পরিমাণে সেনা ও আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু কুকি উগ্রপন্থীদের থামাতে পারছে না। কুকি উগ্রপন্থীরা রাতের অন্ধকারেই বেশির ভাগ আক্রমণ চালাচ্ছে। কুকি উগ্রপন্থীদের খুঁজে কোনো অপারেশনে গেলেও নাকি পাহাড়ের গ্রামবাসীরা বাধা দিচ্ছে। যদিও, অনেক দিন ধরেই রাজ্য সরকার আশ্বস্ত করে আসছে যে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেই এটি নিশ্চিত করবে।

তথ্য দিয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে মণিপুর গতকাল মণিপুর পৌঁছে গেছেন। সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তিনি মণিপুর গেছেন। এছাড়াও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা তাকে ব্রিফ করবেন।

সাম্প্রতিক সহিংসতার দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। একটি হল সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, যার কুকি এবং নাগা সম্প্রদায়ের দ্বারা বিরোধিতা করা হচ্ছে। কুকি ও নাগা সম্প্রদায় স্বাধীনতার পর থেকে উপজাতি মর্যাদা পেয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণ সরকারি জমি জরিপ। বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার আদিবাসী গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল খালি করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে কুকি সম্প্রদায়ের যারা অবৈধভাবে সরকারি বনাঞ্চল দখল করে বসতি বানিয়ে আফিম চাষ করছে। এই বেআইনিভাবে দখল করা কুকি সম্প্রদায়েরবেশির ভাগ লোকেরা নাকি র্বমা থেকে অনুপ্রবেশকারী।