মৃত্যুর ৪ বছর পরও সন্ন্যাসীনির কফিনবন্দি দেহ আজও ক্ষয়হীন! রহস্য ঘনীভূত

মৃত্যুর ৪ বছর পরও সন্ন্যাসীনির কফিনবন্দি দেহ আজও ক্ষয়হীন! রহস্য ঘনীভূত

শৈলশহর মুসৌরি ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা সারা বছরই চলে। আর সেখানে নানান দর্শনীয় স্থানে ভিড় খানিকটা বেশিই হয়। তবে ‘দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা’র খবর অনুযায়ী, মুসৌরির এক ধর্মীয় স্থানে সদ্য বহু পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে। এলাকা থেকে ঘুরে এসে স্থানীয়রা বলছেন, ‘পুরোটাই মিরাকেল!’ জানা যাচ্ছে, এই ছোট্ট শৈলশহরে এক খ্রিস্টান সন্ন্যাসীনির মৃতদেহ ঘিরে নানান প্রশ্ন জেগেছে।

ক্যাথোলিক নিউজ দজেন্সির খবর অনুযায়ী, সিস্টার (সন্ন্যাসীনি) উইলহেলমিনা ল্যান্সেস্টার ২০১৯ সালের ২৯ মে দেহত্যাগ করেন। একটি কাঠের কফিনে ধর্মীয় আচার মেনে তাঁর শেষ ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপর সদ্য ২০২৩ সালে ১৮ মে ধর্মীয় আচার মেনে তাঁর মরদেহ উঠিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হয়। সন্ন্যাসীনির মৃত্যুর চার বছর পর তাঁর মরদেহের অবশিষ্টাংশকে ধর্মীর রীতি মেনে ধর্মীয় স্থানের এক বিশেষ জায়গায় রাখার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। তবে সকলকে অবাক করে এক ঘটনা দেখা যায়। জানা গিয়েছে, চার বছর আগে সন্ন্যাসীনির দেহ যেভাবে ছিল এখনও সেভাবে রয়েছে। কফিন খুলে দেখা গিয়েছে, সন্ন্যাসীনির দেহের কোনও অংশই এতদিনে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যায়নি। শুধু দেখা গিয়েছে, তাঁর দেহের উপর সামান্য ‘ড্যাম্প’এর আস্তরণ রয়েছে। স্যাঁতসেঁতে থাকা সত্ত্বেও, চার বছরে তার শরীরের সামান্য অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এদিকে, যে স্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল, সেই স্থলের কর্মচারীরা বলছেন, চার বছর আগে যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর দেহে শুধু হাড়গোড়ই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তাঁকে এমবামিং করা হয়নি। সেক্ষেত্রে শুধু অস্থি পড়ে থাকার কথা বলেই ধরে নেওয়া হয়। যাঁরা এই দেহ দেখেছেন, তাঁরা বলছেন, সামান্য কিছু মাটি যা পড়েছিল তাঁর মুখের ওপর, সেগুলির জেরে কিছু কিছু মুখের অংশে একটি বিশেষ খাঁজ মতো দেখা যাচ্ছে। তবে সন্ন্যাসীনির চোখের পাতা, ভ্রূ, চুল, নাক, ঠোঁট সব রয়েছে। অনেকেই বলছেন, মুখ দেখে মনে হচ্ছে ‘তিনি হাসতে চলেছেন’। ঘটনাকে অনেকেই ‘মিরাকেল অফ মুসৌরি’ বলে ব্যাখ্যা করছেন। এই দেহ এরপর ২৯ মে কাটের বাক্সে রেখে সকলের সামনে প্রস্তুত করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কিছু পরিবেশগত কারণে এমনটা অনেক ক্ষেত্রে হয়। বিশেষত যেখানে অক্সিজেন কম সেখানে ব্যাকটেরিয়া কম জন্মানোর ফলে এমনটা হতে পারে। তবে দেহ কবর দেওয়ার পরই তা ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে বলেই মত অ্যান্থ্রোপোলজিস্ট নিকোলাস পাসালাকুয়ার। তবে তিনি মিশরের মমি ও ইউরোপের বগ বডির প্রসঙ্গও তোলেন এক্ষেত্রে।

(Feed Source: hindustantimes.com)