বর্তমানে আমরা প্রায় সকলেই ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি। এর জন্য হ্যাকারদের প্রথম পছন্দ এই ডিভাইস। হ্যাকাররা নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে এই ধরনের ডিভাইস হ্যাক করছে। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, তাঁদের ডিভাইস হ্যাক হয়েছে কি না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তা বোঝার উপায়।
উন্নত প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ করে তুললেও, বর্তমানে এমন এমন হ্যাকিংয়ের ঘটনা সামনে আসছে, যার কারণে অনেকেই আতঙ্কিত। প্রতারকরা নতুন নতুন উপায়ে মানুষকে প্রতারিত করছে। এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জানতেও পারেন না, যে তিনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। ফলে নিজেদের ডিভাইস হ্যাক হয়েছে কি না সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ল্যাপটপ স্লো হয়ে যাওয়া –
ল্যাপটপ অনেক কারণে স্লো হতে পারে। অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ আপডেটে, বাগ বা কিছু হার্ডওয়্যারের ভুল হওয়ার কারণেও এটি ঘটতে পারে। আবার যে কোনও ধরনের ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সিস্টেমে প্রবেশ করলেও, সেই সিস্টেম খারাপ হতে পারে।
অদ্ভুত আচরণ –
ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার দ্বারা প্রভাবিত কম্পিউটারের একটি সাধারণ লক্ষণ হল নানা ধরনের অদ্ভুত আচরণ। এর মধ্যে রয়েছে অটোমেটিক শাটডাউন, রিস্টার্ট। এছাড়াও সেই সময় কিছু না করলেও কোনও অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফ হতে পারে।
ফাইল হারিয়ে যাওয়া –
অনেক সময় আমরা সিস্টেমের কোথায় কোনও ফাইল সেভ করেছি তা ভুলে যাই। কিন্তু, তাদের খুঁজে বের করার অনেক উপায় আছে। কেউ যদি সেই ফাইলটি একেবারেই খুঁজে না পান এবং এটি প্রায়শই ঘটতে থাকে, তবে এমন হতে পারে যে সিস্টেমে ভাইরাস প্রবেশ করেছে।
ডুপ্লিকেট ফোল্ডার –
কম্পিউটারে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি ফোল্ডারগুলির মধ্যে একটি ডুপ্লিকেট ফোল্ডার তৈরি করে। তা সরানো যেতে পারে, কিন্তু তা আবার চলে আসে। তাই কেউ যদি নিজের কম্পিউটারে এমন কিছু খুঁজে পান, তাহলে বুঝতে হবে, এটি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন পরিবর্তন –
কেউ যদি আচমকা নিজেদের কম্পিউটারে একটি নতুন অ্যাপ দেখতে পান, ব্রাউজারে একটি নতুন ওয়েব টুলবার উপস্থিত হতে দেখেন অথবা ডিফল্ট সার্চ ব্রাউজার হিসাবে একটি আলাদা পেজ সেট করা হয়, তাহলে এটি সম্ভব যে অন্য কেউ সেই সিস্টেম অ্যাক্সেস করছেন।
নিরাপদ থাকার উপায় –
একটি ভাইরাস কারও অজান্তেই কম্পিউটারের সিস্টেম সেটিংস এবং ফাইলগুলি পরিবর্তন করতে পারে। নিজেদের কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে, আপ-টু-ডেট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে এবং ফাইল ডাউনলোড করার সময় বা অজানা লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।