‘‌আমি মণিপুরে যেতে চাই’‌, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবেন মমতা

‘‌আমি মণিপুরে যেতে চাই’‌, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবেন মমতা

মে মাসেও মণিপুর জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যাহত। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুর গিয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই–সহ উচ্চপদস্থ অফিসাররা এখন মণিপুরে আছেন। এমনকী সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে–সহ পদস্থ সেনা কর্তারা হাজির সেখানে। কিন্তু পাহাড়ি রাজ্য এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তার মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যেতে চান শান্তি ফেরাতে।

এদিকে মণিপুরে গোলমাল বাঁধে মে মাসের ৩ তারিখ। এই অশান্তির ২৬ দিনের মাথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে পা রেখেছেন। অন্যদিকে, অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা নিয়ে সরব ছিলেন। এবার অবশেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হতে চান। সে কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চাইবেন বলে জানান তিনি।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ মণিপুরে অশান্তির আগুন নিভছে না। তা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে এক সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি মণিপুরে যেতে চাই। সেখানে গিয়ে মানুষকে শান্তি ফেরানোর কথা বলতে চাই। আমি কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেনার অনুমতি চাইব ওখানে যাওয়ার জন্য।’‌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অভিযোগ করেন, বিজেপি বাংলায় মণিপুরের মতো জাতি–দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। বিজেপির বিভাজন রাজনীতির জেরেই মণিপুর আজ অগ্নিগর্ভ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মণিপুরের অশান্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও উদ্যোগী হয়েছেন। গত ১০ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইম্ফলে গিয়ে অনশনরত ইরম শর্মিলা চানুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, অনশন তুলে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। এবারও জ্বলছে মণিপুর। তাই সেখানে শান্তির বার্তা দিতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার যেতে অনুমতি দেবে না বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক চার্চের উপর হামলার খররে খ্রিস্টান সম্প্রদায় চিন্তিত। বিগত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের কয়েক হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে সেরাজ্যে। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)