‘ব্রাত্যই’ থেকে গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর স্বপ্ন। এবারও একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে ভরতির প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে না। প্রতিটি কলেজে আলাদা-আলাদাভাবে অনলাইনে ভরতি প্রক্রিয়া চলবে। অর্থাৎ এতদিন যেমন রাজ্যের প্রতিটি কলেজে আলাদাভাবে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া শুরু হত, মেধাতালিকা প্রকাশ করা হত, সেভাবেই ভরতি হতে হবে পড়ুয়াদের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় এবারও ইউনিয়নের ‘দাদা’-দের হস্তক্ষেপ থেকে যাবে।
কিন্তু এতদূর এগিয়ে গিয়েও কেন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভরতির সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল রাজ্য? বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, কোনওভাবে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সেজন্য এবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজগুলিতে ভরতির প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। কলেজগুলি আলাদাভাবে অনলাইনে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া শুরু করবে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে এবার থেকে রাজ্যের কলেজগুলিতে চার বছরের স্নাতক কোর্স শুরু করা হচ্ছে।
যদিও বরাবরই কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে ভরতির প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন ব্রাত্য। কিন্তু তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়নি। এবার তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বধীন রাজ্যের মন্ত্রিসভাও সেই প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছিল। তারপর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছিল। এপ্রিলের শেষলগ্নে সেই গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতির একাধিক সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, ওই প্রক্রিয়ার ফলে পড়ুয়াদের খরচ কমবে। ভরতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
কিন্তু সেইসব ‘সুবিধা’-র পরেও একেবারে শেষলগ্নে কেন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল রাজ্য সরকার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, সেই সিদ্ধান্তের ফলে কলেজের ভরতি প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন দাদাদের আবার দৌরাত্ম্যের ছবিটা ফের দেখা যাবে। যদি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া চলত, তাহলে তাঁদের ডানা কাটা পড়ত। প্রতি বছর যেমন অ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে লাখ-লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ, সেটাও উঠত না।
(Feed Source: hindustantimes.com)