কালীঘাটের বিয়েবাড়িতে মায়ের কোল থেকে শিশু চুরি! অবাক করা পদ্ধতি, সাবধান হন আজই

কালীঘাটের বিয়েবাড়িতে মায়ের কোল থেকে শিশু চুরি! অবাক করা পদ্ধতি, সাবধান হন আজই

কলকাতাঃ বিয়েবাড়ি থেকে শিশু চুরি! সাংঘাতিক এই ঘটনা ঘটেছে কালীঘাট থানা এলাকায়। কালীঘাট ভারত সেবাশ্রম সংঘের একটি বিয়ে বাড়িতে গত ২১ মে রবিবার সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন এক মহিলা। অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁর ১০ মাসের পুত্র সন্তান কান্নাকাটি শুরু করে।

মহিলার অভিযোগ, ছেলে যখন কান্নাকাটি করছিল, সেই সময় পাশে দাঁড়ানো এক ভদ্রলোক মহিলাকে সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মহিলা সেই ব্যক্তির হাতে ছেলেকে দেনও। কিন্তু তারপরেও ঘটে যায় ভয়াবহ চুরির ঘটনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই রীতিমতো ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায় ছেলে।

মহিলার দাবি, তিনি ভেবেছিলেন ওই ব্যক্তি সম্ভবত পাত্র পক্ষের কেউ। তিনি লক্ষ করেন সন্তানকে সামলানোর যথেষ্ট চেষ্টাও করছিলেন তিনি। এতে বেশ আশ্বস্ত হন। ততক্ষণে তিনি আত্মীয়দের সঙ্গে কথাবার্তায় মজে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণেই সম্বিত ফিরতে লক্ষ করেন ছেলেও নেই, ছেলে কোলে সেই লোকটিও উধাও। সঙ্গে সঙ্গে সারা বিয়েবাড়িতে খোঁজ শুরু হয়। কোথাও খোঁজ না মেলায় অবশেষে কালীঘাট থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। কালীঘাট থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনওভাবে শিশু ও সেই ব্যক্তির হদিশ পায়নি।

এরপর কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা তদন্ত শুরু করে। বিয়ে বাড়ির সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে, রাস্তার বিভিন্ন প্রান্তের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে ওই ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর চেহারার বিবরণের ভিত্তিতে সোর্স মারফত খবর মেলে। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম বিক্রম রায়।

গোয়েন্দারা ২২ মে আন্দুল স্টেশনের সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে ২৬ মে মনোজ সাউ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গুন্ডা দমন শাখা। জেরায় উঠে আসে, মনোজ সাউ, বিক্রম রায়ের কাছ থেকে বাচ্চাটি কিনেছিল। পরে গোয়েন্দারা বিহারের পটনার দানাপুর থেকে বিক্রম রায়কে গ্রেফতার করে। ২৯ মে সকালে  গ্রেফতার হয় বিক্রম, তাকে  দানাপুর আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডের বিক্রমকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ ৩১ মে তাকে কলকাতার আদালতে পেশ করবে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, চুরি হওয়া শিশু, নিঃসন্তান দম্পতিরা প্রচুর টাকা দিয়ে কেনেন। সঠিক পথে দত্তক নিতে গেলে নানা আইনি জটিলতা এবং দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার জন্য অনেকেই বেআইনি পথ অবলম্বন করে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দত্তক নেওয়ার আইন লঘু করা উচিত।

(Feed Source: news18.com)