‘ক্লাব নির্বাচনে ভোট দিলেই ছেলের চাকরি !’, টোপ দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ?

‘ক্লাব নির্বাচনে ভোট দিলেই ছেলের চাকরি !’, টোপ দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ?

কলকাতা : কীর্তিমান ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra)! ক্লাবের ভোটে জিততেও সরকারি চাকরির টোপ দিয়েছিলেন ? ক্লাবের ভোটে জিততে সরকারি চাকরির টোপ দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু, এমনই অভিযোগ উঠছে। শুধু তা-ই নয়, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রাপক । তাঁর দাবি, ভোট দিয়ে মিলেছিল জলসম্পদ দফতরে চাকরি। বেহালার উত্তরসূরি ক্লাবের ভোটেও চাকরির টোপ দিয়ে কেরামতি দেখিয়েছিলেন কাকু ! ‘ক্লাব নির্বাচনে ভোট দিলেই ছেলের চাকরি হবে বলে নাকি টোপ দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ’, ‘কালীঘাটের কাকু’ ধরা পড়ার পরেই এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন চাকরিপ্রাপক।

বেহালার একটি ক্লাবের নির্বাচনে একটি ভোট পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সেই ক্লাবের কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখার জন্য ভোটে জিততে চেয়েছিলেন। সেই ভোটটি পাওয়ার জন্য ক্লাবের এক সদস্যকে টোপ দেওয়া হয়েছিল, যদি তিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের পক্ষে ভোটটি দিয়ে দেন, তাহলে তাঁর ছেলেকে চাকরি করে দেওয়া হবে। তাতে রাজি হয়ে যান সংশ্লিষ্ট সদস্য। নির্বাচনের আগে তিনি সুজয়কৃষ্ণকে আশ্বস্ত করেন সুজয়কৃষ্ণকে এবং সেই অনুযায়ী ভোট দেন। কথা মতোই ক্লাব সদস্যের ছেলেকে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরে চাকরি করে দেন ‘কালীঘাটের কাকু’। চাকরিপ্রাপক অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই তাঁকে চাকরি করে দিয়েছেন। এনিয়ে তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে জানতে চান। সুজয়কৃষ্ণ বলেছিলেন, গিয়ে ইন্টারভিউ দে !

চাকরিপ্রাপক বলেন, “আমাদের এখানে দুটো দল ছিল। পুরনো-নতুনের মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। ক্লাবের মধ্যে দুটি দল। একটি দলে ছিলেন কেষ্টকাকু বলে একজন, অন্য দলে ছিলেন সুজয়কাকু। ভোটাভুটি হয়। আমাদের তখন ক্লাবের সংখ্যা ছিল খুব কম। ওঁরা একটা হিসাব করে নিয়েছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছিল, ওঁদের দুটি ভোটের দরকার ছিল। সেই ভোটে বাবা ওঁকে (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে) ভোট দিয়েছিলেন। তাতে উনি জেতেন। তখন উনি বাবাকে বলেছিলেন, আপনি চিন্তা করবেন না। আপনার ছেলের একটা ব্যবস্থা করে দেব। ভোটে জেতার পর উনি আমার থেকে বায়োডেটা নিয়েছিলেন। তার পরে জলসম্পদ ভবন থেকে আমাকে ফোন করেছিল। আমি গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছি। তার পরে আমার চাকরি হয়েছে। পরীক্ষা কিছু হয়নি।”

অর্ণবের মা কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “উনি বলেছিলেন যে কলেজে বা স্কুলে…এরকম একটা কিছু। মানে, শিক্ষক। আমার স্বামী তাতে রাজি হয়ে সইটা করে দেন। এই পর্যন্ত। ক্লাবের ভোটে যাতে জেতেন তার জন্য সই করতে হয়েছিল। জলসম্পদে দিয়েছেন। ওখানেই আমার ছেলে চাকরি করে।”

(Feed Source: abplive.com)