কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে সরকার পক্ষের প্রথম বিবৃতি, কী বললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী ?

কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে সরকার পক্ষের প্রথম বিবৃতি, কী বললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী ?

নয়া দিল্লি : বিজেপি সাংসদ তথা ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমাগত বাড়াচ্ছেন কুস্তিগিররা। যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এখনও অবধি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল পদকজয়ী আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা হরিদ্বারের গঙ্গায় নিজেদের পদক ভাসিয়ে দিতে যান। যা অবশ্য কৃষক নেতাদের কথায় স্থগিত রাখেন। আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সাম্প্রতিক সময়ে যা সম্ভবত সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি। তিনি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে “গোলপোস্ট পাল্টে” ফেলার অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি তাঁদের বার্তা দিয়ে বলেন, তাঁদের এমন কিছু করা উচিত নয় যা খেলা এবং অন্য অ্যাথলিটদের ক্ষতি করে।

দিল্লির যন্তর মন্তরে কুস্তিগিরদের ধরণামঞ্চে দেখা গেছে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আজ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “অ্যাথলিটরা নিজেরাই বলেছেন যে এই প্ল্যাটফর্মটা রাজনীতি করার জন্য নয়। কিন্তু, তার পরেও রাজনৈতিক দলগুলি এসেছে এবং এই মঞ্চ শেয়ার করেছেন।”

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করবেন না জানিয়েও পরে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “আমি অ্যাথলিটদের বলব, দিল্লি পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দিল্লি পুলিশ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এবং এফআইআরও ফাইল করেছে। যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এমন কোনও পদক্ষেপ নেবেন না যাতে খেলার এবং খেলোয়াড়দের ক্ষতি হয়।”

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদকজয়ী ভিনেশ ফোগতরা। তাঁদের অভিযোগ, WFI প্রধান একাধিক মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ঘটনায় নাটকীয় পটপরিবর্তন দেখা যায় গতকাল। যখন পদকজয়ী তথা আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা হরিদ্বারের গঙ্গায় নিজেদের পদক ভাসিয়ে দিতে যান। কারণ, অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও, সেই সময় কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েত এবং অন্য কৃষক নেতাদের কথায় তাঁরা সেই কাজ থেকে বিরত থাকেন। তাঁরা কুস্তিগিরদের কাছে সমস্যার সুরাহার জন্য পাঁচ দিন সময় চেয়ে নেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)