ছেলের বউয়ের চাপে চরম পথ নিলেন শ্বশুর, অভিযোগ শুনলে চমকে যাবেন!

ছেলের বউয়ের চাপে চরম পথ নিলেন শ্বশুর, অভিযোগ শুনলে চমকে যাবেন!

শিলিগুড়ি: পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী শ্বশুর। আদালতে মামলা করেছেন ছেলের বউ। পরবর্তীতে দাবি করেছিল কয়েক লক্ষ টাকা। কী করে সেই টাকা মেটাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। মানসিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন শ্বশুর। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।

গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকাজুড়ে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগছ গ্রামে। জানা যায়, এদিন ভোরবেলা ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ আসিন (৫৬)। এরপরে পরিবারের লোকজন ওই স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি খবর দেন ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর বড় ছেলে মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গে ফুলবাড়ি জটিয়াখালির বাসিন্দা আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। গত তিন বছর আগে ঠিক মতোই চলছিল সংসার। হঠাৎ তাঁর বৌমা চলে যায় বাপের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে আদালতে মামলা করে। এই মামলায় জামিন পান তাঁরা।

পরবর্তীতে তাঁর বৌমাকে আনতে গেলে সেখানে টাকার দাবি করা হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর। অন্যদিকে, মোহাম্মদ আসিন রিস্কা ভ্যান চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চলাতেন। কী করে এই টাকা দেবেন বউমাকে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। গত দুমাস ধরে মানসিক চাপে বাড়ি থেকে বের হতেন না। এতগুলো টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এই মানসিক চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের।

এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান মোঃ খমিজ জানান, ‘বহুদিন ধরে আদালতে একটি মামলা চলছিল সেই পরিবারের। বহুবার সেই সমস্যা সমাধানের বিষয় নিয়ে আমরা আমেনা খাতুনের বাড়িতে মীমাংসা করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু আমেনা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। সেটা দেওয়া সম্ভব নয় এই গরিব দুস্থ পরিবারের পক্ষে। সেই জন্য আজ এই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।’ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ।

(Feed Source: news18.com)