Hole in Earth’s Crust: ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তরে পৌঁছবে চিন! কোন ভয়ংকরের মুখোমুখি হবে বিশ্ব?

Hole in Earth’s Crust: ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তরে পৌঁছবে চিন! কোন ভয়ংকরের মুখোমুখি হবে বিশ্ব?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৩২ হাজার ফুট! পৃথিবীর মাটিতে গভীরতম গর্ত খুঁড়তে চলেছে চিন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার তোড়জোড়ও। চিনের উত্তর-পশ্চিমে শিনজিয়াং প্রদেশে বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে গর্ত খোঁড়া। এই এলাকা খনিজ তেল সমৃদ্ধ। সেখানেই এই গভীর গর্তটি খুঁড়তে শুরু চলেছে চিন। ২০২১ সালেই বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে গিয়ে এই কথা বলেছিলেন জি জিন পিং।

গর্ত খোঁড়া চলেছে বললে অবশ্য একটু ভুল হয়, কেননা সদ্য গর্তটি খোঁড়ার কাজ শুরুও করেছে জি জিনপিংয়ের দেশ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পৃথিবীর গভীরেও নিজেদের প্রযুক্তির অনপনেয় ছাপ ফেলতে চলেছে চিন। চিনের এই গর্ত দশটি মহাদেশীয় স্তর ভেদ করে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এ-ও জানা গিয়েছে, ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তরে পর্যন্ত পৌঁছবে এটি। যা নিয়ে সকলে চরম কৌতূহলী।

চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জিনজিয়াংয়ে যে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে, তার গভীরতা হবে ১০ হাজার মিটার, অর্থাৎ, ৩২ হাজার ৮০৮ ফুট! কেন এই গর্ত খুঁড়বে চিন? একাধিক কারণ দেখাচ্ছে চিন। তারা বলছে, এই ধরনের গর্তের মাধ্যমে ভূগর্ভে সঞ্চিত ধাতু বা শক্তির বিষয়ে অনেক অজানা জ্ঞান সঞ্চয় করা যাবে, জানা যাবে ভূস্তরের নীচে লুক্কায়িত খনিজ পদার্থের অস্তিত্বের বিষয়ে অজানা কথাও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ার বিষয়েও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন, ভূমিকম্প বা অগ্ন্যুৎপাত বিষয়েও জানা যাবে নানা প্রয়োজনীয় বিষয়।

এ ধরনের গর্তের ভাবনাটা কি একেবারে নতুন কিছু?

না, দেখতে গেলে কনসেপ্টটা আদ্যন্ত নতুন কিছু নয়। বিশ্ব আগে রাশিয়াকে এরকম এক গর্ত খুঁড়তে দেখেছে। রাশিয়া এর আগে এরকম যে গর্তটি খুঁড়েছে, তার গভীরতা ৪০ হাজার ফুটের কিছু বেশি। যেটা খুঁড়তে রাশিয়ার সময় লেগেছিল ২০ বছর। চিন যে-গর্ত খুঁড়তে চলেছে সেটা অবশ্য রাশিয়ার খোড়া গর্তের চেয়ে কম গভীর। চিনের গর্তটি হতে চলেছে ৩২ হাজার ৮০৮ ফুট! সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, এই গর্তটি খুঁড়তে চিনের মোটেই ২০ বছর সময় লাগবে না!

(Feed Source: zeenews.com)