রেলকে ঝাঁ চকচকে করা বেশি প্রয়োজন না সুরক্ষা বৃদ্ধি? প্রশ্ন তুলল করমণ্ডল বিপর্যয়

রেলকে ঝাঁ চকচকে করা বেশি প্রয়োজন না সুরক্ষা বৃদ্ধি? প্রশ্ন তুলল করমণ্ডল বিপর্যয়

৩০ বিলিয়ন ডলারের রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রেল সংযোগ ব্যবস্থা। নতুন ট্রেন এবং আধুনিক স্টেশনের পাশাপাশি শুক্রবারের ভয়াবহ করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

গত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ট্রেন নেটওয়ার্কের পরিচালনা করে। প্রতিদিন ১.৩ কোটি যাত্রী ভারতীয় রেলের সওয়ারি হন। ২০২২ সালে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন টন মাল পরিবহন করেছিল ভারতীয় রেল।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের লাইফলাইন এই ভারতীয় রেল। ১৭০ বছরের পুরোনো এই রেল ব্যবস্থা ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির পরিকাঠামো এবং যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির অন্যতম অনুঘটক। আর এই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও দ্রুত সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছেন।

চলতি বছর, সরকার রেলের জন্য রেকর্ড ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা($৩০ বিলিয়ন) ব্যয় বরাদ্দ করেছে। এর আগের অর্থবর্ষের তুলনায় যা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ট্র্যাক আপগ্রেড করতে, যানজট কমাতে এবং নতুন ট্রেন যোগ করতে এই টাকা ব্যয় করা হবে।

সেমি-হাই-স্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’কে এই আধুনিকীকরণের মুখ হিসাবে দেখানো হচ্ছে।

তবে শুক্রবারের এই ঘটনায় রেল বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

মধ্য ভারতের কিরোডিমাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রকাশ কুমার সেন বললেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই নিরাপত্তার রেকর্ডের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু আরও অনেক কাজ বাকি আছে।’ মনুষ্যজনিত ভুল বা ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই সাধারণ এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী হয়।

রেল ক্রমবর্ধমান যাত্রীর চাহিদা মোকাবিলা করার জন্য আরও বেশি সংখ্যক ট্রেন চালু করছে। কিন্তু তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী রাখা হয়নি বলে জানান তিনি। শ্রমিকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত নন। অথবা তাঁদের কাজের চাপ খুব বেশি থাকে। তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান না। এমনটাই বলেন তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)