তাইওয়ানের সামুদ্রিক সীমান্তে অবস্থানরত আমেরিকান যুদ্ধজাহাজের পথ অনিরাপদভাবে কেটে ফেলেছে চীনা সামরিক জাহাজ। তখন জাহাজ দুটির মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দেড়শ মিটার। এরপর সেখান থেকে চীনা জাহাজটি চলে যায়।
ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি যে আরেক বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা বাজতে শুরু করেছে। তাইওয়ান নিয়ে চীন ও আমেরিকার মধ্যে যে কোনো সময় শুরু হতে পারে এই মহাযুদ্ধ। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লর্ড অস্টিন সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এ সময় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চীন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ হলে বিশ্ব তা সহ্য করতে পারবে না। এই বিবৃতিটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন চীন ও আমেরিকান যুদ্ধজাহাজ চীন উপসাগরে একে অপরের এত কাছাকাছি চলে এসেছে যে তাদের সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন ও কানাডার যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান উপসাগরে কৌশল চালাচ্ছিল। এ সময় আমেরিকান যুদ্ধজাহাজ এগিয়ে যাচ্ছিল। এরপর পথ কাটতে কাটতে এগিয়ে যেতে থাকে চীনা যুদ্ধজাহাজ।
তাইওয়ানের সামুদ্রিক সীমান্তে অবস্থানরত আমেরিকান যুদ্ধজাহাজের পথ অনিরাপদভাবে কেটে ফেলেছে চীনা সামরিক জাহাজ। তখন জাহাজ দুটির মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দেড়শ মিটার। এরপর সেখান থেকে চীনা জাহাজটি চলে যায়। ঘটনাটি শনিবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঘটেছে, যার ভিডিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমবার প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে আমেরিকান যুদ্ধজাহাজটিকে গতি কমাতে হয়েছে। ছিল। ঘটনার সময় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস চুং-হুন এবং কানাডিয়ান ফ্রিগেট এইচএমসিএস মন্ট্রিল তাইওয়ান এবং চীনা মূল ভূখণ্ডের মধ্যে তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চলাচলের স্বাধীনতায় ভ্রমণ করছিল।
চীনকে বলেছে যে চীনের পথ আটকানো সামুদ্রিক নিয়মের পরিপন্থী, ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে যে এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপদে যাওয়ার জন্য সমুদ্রসীমার নিয়ম লঙ্ঘন। চীন তার পদক্ষেপকে রক্ষা করেছে। এর আগে মে মাসের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে চীনের ফাইটার প্লেন হঠাৎ আমেরিকার বিমানের খুব কাছে চলে আসে। তারপর ঘুরে ফিরে যায়। দেখে মনে হচ্ছে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছে। সম্ভবত তার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকান ফাইটার পাইলটকে ভয় দেখানো।
(Feed Source: prabhasakshi.com)