জৈন তীর্থঙ্করকে উৎসর্গ করা হবে বেনারস নতুন ঘাট, 17 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে

জৈন তীর্থঙ্করকে উৎসর্গ  করা হবে বেনারস নতুন ঘাট, 17 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে

 

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে, চন্দ্রপ্রভু জির জন্মস্থান চন্দ্রাবতী গ্রামে এখন একটি কংক্রিটের গঙ্গা ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। এই ভাবে বারাণসীতে শুরু হতে চলেছে নতুন ঘাট নির্মাণের কাজ। এর দাম ১৭ কোটি টাকার বেশি।

আধ্যাত্মিকতা, ধর্ম ও সংস্কৃতির শহর কাশীতে, যেখানে একদিকে ভগবান শিব বাস করেন, তথাগত গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মোপদেশও এখানেই সারনাথে। তুলসীদাসের কর্মভূমি থেকে কাশীতে বাবা কীনারামের অঘোর তপোস্থল পর্যন্ত। সাধক কবির ও সাধক শিরোমণি রায়দাসও কাশীর ভূমি থেকে বিশ্বকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কাশী জৈন ধর্মের একটি প্রধান তীর্থস্থানও বটে। ভগবান পার্শ্বনাথের পাশাপাশি অষ্টম তীর্থঙ্কর ভগবান চন্দ্রপ্রভুর জন্মস্থানও বারাণসীতে। এমতাবস্থায়, যোগী সরকার এখন জৈন ধর্মের অষ্টম তীর্থঙ্কর ভগবান চন্দ্রপ্রভুজির চারটি কল্যাণের (চ্যবন, জন্ম, দীক্ষা এবং কেবলজ্ঞান) স্থানটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে নিযুক্ত রয়েছে।

পবিত্র চন্দ্রাবতী গ্রামটি গাজীপুর সড়কে গঙ্গার তীরে অবস্থিত।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে, চন্দ্রপ্রভু জির জন্মস্থান চন্দ্রাবতী গ্রামে এখন একটি কংক্রিটের গঙ্গা ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। এই ভাবে বারাণসীতে শুরু হতে চলেছে নতুন ঘাট নির্মাণের কাজ। এর দাম ১৭ কোটি টাকার বেশি। জৈন ধর্মের অষ্টম তীর্থঙ্কর ভগবান চন্দ্রপ্রভুজির জন্মস্থান বারাণসী সদর থেকে প্রায় 23 কিলোমিটার দূরে গাজিপুর সড়কের চন্দ্রাবতী গ্রামে গঙ্গার তীরে অবস্থিত। এখানে রয়েছে চন্দ্রপ্রভুজির শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর জৈন মন্দির।

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ জৈন ভক্ত এখানে আসেন

পর্যটন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর রাজেন্দ্র কুমার রাওয়াত জানান, প্রতি বছর ভারত-বিদেশ থেকে লাখ লাখ ভক্ত যারা জৈন ধর্মের অনুসারী হন। ঘাটের পুনরুজ্জীবন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ফলে আগামী দিনে এই স্থানটি একটি বড় তীর্থস্থান হিসেবে আবির্ভূত হবে। আগামী সময়ে এই ঘাটকে পানির মাধ্যমে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে নৌকা বা ক্রুজে করে পর্যটন এখানে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, আগামী দিনে এই স্থানটিকে পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যা পর্যটন শিল্পকেও উপকৃত করবে।

ঘাট হবে 200 মিটার দীর্ঘ, তিনটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে

ইউপি প্রজেক্টস কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তা জানান, ভগবান চন্দ্রপ্রভুজির জন্মস্থানের কাছে প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ কংক্রিটের ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে এবং ঘাটটিকে সুন্দর দেখাতে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। ঘাট থেকে নামার জন্য সিঁড়ি থাকবে। এছাড়া পুরো ঘাটটিই থাকবে ঐতিহ্যবাহী রূপ। সেই সঙ্গে গ্যাবিয়ন ও রেটিং ওয়াল দিয়ে ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে, যাতে দেখতে পুরনো ঘাটের মতো হবে এবং বন্যায় ঘাট নিরাপদ থাকবে। এই নির্মাণ সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব হবে। টয়লেট ব্লক, পোর্টেবল চেঞ্জিং রুম, সাইনবোর্ড, পার্কিং, হেরিটেজ লাইট, বসার জন্য পাথরের তৈরি বেঞ্চ এবং পাথরের জালি দিয়ে তৈরি সুন্দর রেলিং, পাশাপাশি ল্যান্ডস্কেপিং থাকবে। পুরো ঘাট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭.০৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের মধ্যে ঘাটটির নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

(Feed Source: prabhasakshi.com)