হোম লোন নিয়েছেন অথচ বুঝতে পারছেন না কত টাকা EMI দিতে হবে ?

হোম লোন নিয়েছেন অথচ বুঝতে পারছেন না কত টাকা EMI দিতে হবে ?

#কলকাতা: আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা লোন নিয়ে বাড়ি কেনায় বিশেষ আগ্রহী। কেমন বাড়ি কিনতে চান, কত টাকা দরকার এবং কত মেয়াদের জন্য ঋণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন– এই সবই হয়তো তাঁরা ঠিক করে ফেলেছেন, কিন্তু মাসিক কিস্তির পরিমাণ কত হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। চিন্তা নেই, EMI ক্যালকুলেটর তো আছেই। বাড়িতে বসে EMI ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে খুব সহজেই নির্ধারণ করা যাবে ঋণ পরিশোধের সময় মাসিক কিস্তি হিসেবে কত টাকা জমা দিতে হবে। 

প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই একাধিক হোম লোন প্যাকেজ বা স্কিম থাকে, যার সুদের হার ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন– স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হোম লোনে বেতনভোগী এবং স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা আলাদা স্কিম রয়েছে। ব্যাঙ্ক, স্কিম এবং মেয়াদ অনুযায়ী সুদের হার পরিবর্তিত হতে থাকে। স্বল্পমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার তুলনামূলক ভাবে কম হয়। EMI ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে খুব কম সময়ে প্রতিটি স্কিমের মাসিক কিস্তির পরিমাণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বার করা যায়। এর পর গ্রাহক নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী এবং সঠিক ও ঋণ শোধের দক্ষতা অনুযায়ী নিজের জন্য উপযুক্ত লোন স্কিম বেছে নিতে পারবেন।

 কী ভাবে EMI ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হয়?

হোম লোন আমাদের জীবনের অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হোম লোন সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী হয়। এমনকি ব্যাঙ্কের তরফেও বেশি সময়ের জন্য ঋণ নিতে গ্রাহকদের উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। এই কারণে লম্বা সময়ের জন্য ঋণের বোঝা নেওয়ার আগে লোন স্কিমের সমস্ত দিক ভালো ভাবে জেনে নেওয়া উচিত, যার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল– EMI বা মাসিক কিস্তি। নীচে EMI ক্যালকুলেটর কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে বিস্তারে আলোচনা করা হল।

 EMI ক্যালকুলেটর:

মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করতে প্রথমে নিম্নলিখিত তিনটি তথ্য ‘হোম লোন ক্যালকুলেটর’-এ দিলেই সহজে EMI নির্ধারণ করা যাবে।

    •     গৃহ লোনের পরিমাণ
    •     ঋণ পরিশোধের মেয়াদ
    •     বার্ষিক সুদের হার

এই তিনটি তথ্য ‘হোম লোন ক্যালকুলেটর’ টুলে বসিয়ে ‘ক্যালকুলেট’ অপশনে ক্লিক করলেই গ্রাহক নিজের লোন পরিশোধের সময় মাসিক কিস্তির পরিমাণ কত হবে, তা জানতে পেরে যাবেন।

 EMI নির্ধারণের সূত্র: ক্যালকুলেটর ছাড়াও গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করা যায়।

সূত্রটি হল: P x r x (১+r)^n]/[(১+r)^n-১]

‘P’ হল– লোনের পরিমাণ, ‘r’ হল– সুদের হার, এবং ‘n’ হল– কিস্তির সংখ্যা বা ঋণের মেয়াদ

 কার্যকর সুদের হার কী ভাবে গণনা করা হবে?

 বেস রেট এবং মার্ক-আপ রেট– এই দু’টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হোম লোনের কার্যকর সুদের হার গণনা করা হয়। এই দুইয়ের সমষ্টিকে ঋণগ্রহীতারা EMI-এর সময় সুদ হিসেবে প্রদান করে।

 বেস রেট: বেস রেট হল– ব্যাঙ্কের প্রাথমিক সুদের হার, যা সমস্ত ঋণের ক্ষেত্রে এক। এর পর লোনের প্রকৃতি, মেয়াদ এবং বিভিন্ন বিষয় বেস রেটে যুক্ত হয়।

 মার্ক-আপ রেট: একটি লোনের কার্যকর সুদে মার্ক-আপ রেট হিসেবে একটি ছোট অংশ যুক্ত হয়। এই অতিরিক্ত রেট ব্যাঙ্কের গাইড লাইন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে। 

অর্থাৎ, কার্যকর সুদের হার= বেস রেট + মার্ক-আপ রেট

Published by:Dolon Chattopadhyay

(Source: news18.com)