‘‌এটা বিরাট বড় কেলেঙ্কারি’‌, ‘রেলের দুর্নীতি’ এবার প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

‘‌এটা বিরাট বড় কেলেঙ্কারি’‌, ‘রেলের দুর্নীতি’ এবার প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। তার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে পাশে দাঁড় করিয়েই সুরক্ষা যন্ত্র কেন ছিল না?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এবার আবার রেলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। একপ্রকার দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। তাই বন্দে ভারতের ইঞ্জিনের দুর্বলতা, রেল বাজেট তুলে দেওয়া এবং রেল নিরাপত্তার টাকায় ‘ফুট ম‌্যাসাজ’ যন্ত্র কেনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর রেল মন্ত্রকের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দুর্নীতির ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

রেলের তদন্ত কি ঠিক পথে হচ্ছে?‌ এই তদন্ত নিয়ে আগেই সোচ্চার হয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতারা। প্রশ্ন তুলে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত হল কোথায়? এত তাড়াহুড়ো করার কী আছে? এরা সত্য ঘটনা লুকোতে চাইছে। কিছু তো হয়েছে। আমার কাছে সরকার আছে বলে আমি এক একদিন এক একরকম কথা বলব? দু’‌দিনে তদন্ত শেষ হতে পারে না। সিগন্যাল সবুজ থেকে থাকলে তো নিশ্চয়ই অন্য কারও গাফিলতি ছিল। সিবিআইকে বলা হচ্ছে সব চেপে দিতে। আর এই দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে ঘরে ঘরে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে।’

আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এই রেল দুর্ঘটনার পরই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। যদিও তিনি তা করেননি। রেলের পরিকাঠামো সঠিক মাত্রায় নেই বলে সিএজি রিপোর্টের উল্লেখ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রেলের নিরাপত্তা তহবিলের টাকা দিয়ে ফুট ম্যাসাজের যন্ত্র কেনা হয়েছে। এটা বিরাট বড় কেলেঙ্কারি। বন্দে ভারতের নামকে আমি সন্মান করি। কিন্তু কেমন ইঞ্জিন নিয়ে এসেছে দেখো, একটা গাছ এসে পড়ল আর বন্দে ভারতের ক্ষতি হয়ে গেল। এরকম রেলের অবস্থা আগে দেখিনি।’ অর্থাৎ সরাসরি রেলে দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। যা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ জ্ঞানেশ্বরী, সাঁইথিয়া কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ব‌্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তাই মমতা বলেন, ‘রেলমন্ত্রী থাকার সুবাদেই আমি রেলকে হাতের তালুর মতো চিনি। সিবিআইকে কেন আগে তদন্ত দেওয়া হল? আসলে সব ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। আগে রেলের বাজেট শোনার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করতাম। কেউ একজন ট্রেন পেলে খুশি হতেন। এখন রেল দফতরকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।’‌

(Feed Source: hindustantimes.com)