কলকাতা: তাপপ্রবাহের মাত্রা যে হারে বাড়ছে, তাতে এসি ছাড়া আর থাকা যায় না বললেই চলে! যার ফলে এসি এখন প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম। এবার এসি চালালে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তে থাকবে বিদ্যুতের বিলের বোঝাও। বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন এসি বাজারে পাওয়া যায়। তবে ১.৫ টন এসি-র চাহিদা সবথেকে বেশি। কিন্তু এই এসি লাগালে মাসে বিদ্যুতের বিল কেমন হবে, আজ সে কথাই জেনে নেওয়া যাক।
১.৫ টন এসি বাজারে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়। কারণ বাড়ির ছোট থেকে মাঝারি ঘর কিংবা হলঘর ভাল ভাবে ঠান্ডা করার জন্য ১.৫ টন এসি সেরা। ধরা যাক, এক জন গ্রাহক ৫-স্টার রেটিং বিশিষ্ট একটি ১.৫ টন স্প্লিট এসি ইনস্টল করেছেন। তাতে ঘণ্টা প্রতি প্রায় ৮৪০ ওয়াট (০.৮kWh) বিদ্যুৎ খরচ করবে। ফলে সেই হিসেবে প্রতিদিন ঘরে ৮ ঘণ্টা এসি ব্যবহার করা হলে দিনে ৬.৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। এবার কোনও জায়গায় যদি বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট ৭.৫০ টাকা হিসেবে চার্জ করা হচ্ছে। তাহলে সেক্ষেত্রে এসি-র জন্য দৈনিক বিল আসবে প্রায় ৪৮ টাকা। আর মাসের হিসেবে এই বিলের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০০ টাকায়।
আবার ধরা যাক এক গ্রাহক ৩-স্টার রেটিং বিশিষ্ট একটি ১.৫ টন এসি ইনস্টল করেছেন। সেক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১১০৪ ওয়াট (১.১০ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ খরচ হবে। ফলে ৮ ঘণ্টা এই এসি চালানো হলে দৈনিক ৯ ইউনিট করে বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে সেই অনুযায়ী প্রতিদিন বিল উঠবে ৬৭.৫ টাকা। আর মাসিক হিসেবে করলে এই বিলের পরিমাণ হবে ২০০০ টাকা।
এই দুই উদাহরণের থেকে প্রমাণিত যে, ৫-স্টার বিশিষ্ট এসি মাসে ৫০০ টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম। ফলে এখন নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, একটা ১.৫ টন এসি দিনে ৮ ঘণ্টা চললে কেমন খরচ হতে পারে! সেই অনুযায়ী নিজের বাজেট অনুযায়ী ৫-স্টার কিংবা ৩-স্টার বিশিষ্ট এসি কেনার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আজকাল বেশ কিছু সংস্থা ডুয়াল ইনভার্টার এসি-ও বিক্রি করে। যা কম্প্রেসরের গতি কমায় এবং বিদ্যুৎও সাশ্রয় করে। ফলে বাজেট বেশি থাকলে ডুয়াল ইনভার্টার এসি কেনা যেতে পারে।