বিয়ের পরেই খুন যুবক, মৃত্যু বোনের বরেরও! নববধূর কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে

বিয়ের পরেই খুন যুবক, মৃত্যু বোনের বরেরও! নববধূর কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে

কলকাতাঃ বিয়ের দু’দিনের মধ্যেই খুন হয়ে গেলেন বর। আবার কনের মাসতুতো বোনের বরের দেহও মিলল সাত দিনের মধ্যে। এমন এক অদ্ভুত ঘটনায় আপাতত উত্তাল বিহারের গয়া জেলা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই দুই মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্ক তো রয়েছেই। এমনকী তার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে নববধূরও।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়া জেলার গুরুয়া থানার লাকদাহি গ্রামে গত ১ জুন অশোক কুমার নামে এক যুবককের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় পাশের গ্রামের এক খালপাড় থেকে। অভিযোগ, তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় গত ৩১ মে রাতে। ঘটনায় সন্দেহের তীর অশোকের নববিবাহিত বধূ রেবন্তী কুমারীর দিকে গিয়ে পড়ে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নববধূ রেবন্তী কুমারীর সঙ্গে তাঁর মাসতুতো বোনের স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরই হয়তো সেই বিষয়টি জানতে পেরে যান অশোক কুমার। তার ফলেই অশোককে পথ থেকে সরাতে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। তাও বিয়ের দু’দিনের মধ্যে।

এদিকে আশোক খুনের ঠিক সাত দিনের মাথায় গত ৬ জুন রেবন্তীর ওই মাসতুতো বোনের স্বামী উপেন্দ্র যাদবের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঠিক কী ভাবে উপেন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে নতুন করে তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

গত ২৯ মে অশোক কুমারের সঙ্গে রেবন্তী কুমারীর বিয়ে হয়। গয়া পুলিশের দাবি, স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল নববধূ। সেই সন্দেহ অনুযায়ী তাঁকে আটক করে তদন্ত চলছিল। এরই মধ্যে গত ৬ জুন আমাস থানা এলাকা থেকে উপেন্দ্র কুমার যাদবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, অশোক হত্যায় উপেন্দ্র যাদবের হাত ছিল। পরে তিনি কোনও ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কারণ, যেখান থেকে উপেন্দ্র যাদবের দেহ উদ্ধার করা হয়, সেখানে বমির চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে সিট ঘটনা করা হয়েছে। এসএসপি আশিস ভারতী জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পরই রেবন্তীকে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

(Feed Source: news18.com)