গাড়ির ইঞ্জিন, ব্যাটারি ‘হাওয়া’ করে দিয়েছে পুলিশ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ মহিলার

গাড়ির ইঞ্জিন, ব্যাটারি ‘হাওয়া’ করে দিয়েছে পুলিশ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ মহিলার

কলকাতা: পুলিশ এক মহিলার দুটি গাড়ি চার বছর আগে জোর করে নিয়ে যায়। দুটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর একটি গাড়ি আদালতের নির্দেশে ছেড়ে দেয়। আরেকটি গাড়ি আদালতের নির্দেশে সত্ত্বেও আজও ছাড়েনি।

ওই মহিলার বক্তব্য, দ্বিতীয়বার আদালতের নির্দেশ নিয়ে যাওয়ার পর, যখন পুলিশ তাঁকে গাড়িটি দিচ্ছিল, তখন তাতে না ছিল ইঞ্জিন, না ছিল ব্যাটারি।প্রশ্ন,তাহলে কি পুলিশ কি সেগুলো গায়েব করে দিয়েছে?

চার বছর কেটে গেল। মহিলাকে আজও ওই গাড়িটি দেওয়া হয়নি।  বাঘাযতীন এলাকার নন্দিতা দাস, তিনি দুটি পুরনো গাড়ি কিনেছিলেন। একটি হল টাটা মানজা ও  আরেকটি মারুতি জেন।

২০১৯ সালের ২৫ মার্চ পাটুলি থানা দুটি গাড়ি তাদের থানায়  নিয়ে যায়। ১৫ই জুন ২০১৯ সালে নন্দিতা দেবী গাড়িটি থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলিপুর আদালত থেকে নির্দেশনামা বের করান।

সেই অনুযায়ী ,তাঁকে টাটা গাড়িটি থানা থেকে দিয়ে দেওয়া হলেও আরেকটি গাড়ি থানা দেয়নি। তার কিছুদিন পরে ওই গাড়ির জন্যও নন্দিতা দেবী আবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। আবার আদালতের নির্দেশ নামা নিয়ে এলে পুলিশ তাঁকে গাড়ির চাবিটি যখন দেয়, তখন তিনি নাকি দেখেছিলেন, তাঁর গাড়ির ইঞ্জিন, ব্যাটারি ছিল না।

এমনকী সামনের কাঁচও ভাঙা ছিল। ওই অবস্থায় তিনি গাড়িটি নিতে অস্বীকার করেছিলেন বলে জানান। তারপর বহুবার পাটুলি থানার দারস্থ হলেও নন্দিতার বক্তব্য অনুযায়ী, ওই থানার অতনু নামে এক পুলিশ অফিসার তাঁকে এবং তার স্বামী তারক দাসকে বিভিন্নভাবে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

সেই থেকে চার বছর গাড়ির জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন মহিলা। তিনি যে গাড়িটি কিনেছিলেন, তার অনুকূলে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। ১০ জুন তিনি আবার পাটুলি থানায় গেলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর গাড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে চলে গেছে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কারো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

(Feed Source: news18.com)