সল্টলেক বিদ্যুৎ ভবনে গিয়ে লোডশেডিংয়ের এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনার কথা বলি। গতকাল মেদিনীপুরের ডেবরায় কীভাবে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। একের পর এক ছবি তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু আমরা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করছেন। কোথাও কোথাও সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। আমরা বলতে চাইছি বামফ্রন্ট সরকার যখন ছিল তখন তাদের গ্রাহক ছিল ৮০ লক্ষ। এখন আমাদের গ্রাহক ২ কোটি ৩৩ লক্ষ। বাম আমলে সর্বোচ্চ প্রয়োজন ছিল ৪ হাজার ৮৫ মেগাওয়াট। আমাদের আজ সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ১৮ এপ্রিল আমরা সর্বকালীন রেকর্ড করেছি। ৮ জুন সেই রেকর্ডকে ভেঙেছি। স্বাধীনতার পর থেকে এত চাহিদা কোনওদিন হয়নি। সাগরদিঘিতে দুটো ইউনিট করেছি।
বিদ্যুতের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অসমে ইউনিট ৮টাকা ১৪ পয়সা। উত্তরপ্রদেশে তার পার ইউনিট ৭ টাকা ৫৪ পয়সা। আর বাংলায় ৭ টাকা ১২ পয়সা। আমরা ১১ নম্বরে।
মন্ত্রী বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বীকৃতি দেয় তখন কীসের হিসাবে দেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম স্থান পেয়েছে বাংলা।আমরা অনেককে হারিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনেককে হারিয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। কোথাও কোনও ঘাটতি নেই। কোথাও যান্ত্রিক গোলোযোগ, কোথাও প্রকৃতির কাছে হেরে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে। বিজেপি, সিপিএম লোডশেডিংকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু বর্তমান সরকার লোডশেডিং শব্দটা মুছে দিয়েছে ।
সেই সঙ্গেই বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি বলছি সবাইকে একটা নয়, একটার জায়গায় দশটা এসি কিনুন। একটা ওয়াশিং মেশিন নয়, ৫টা ওয়াশিং মেশিন কিনুন, ১০টা টিভি লাগান, কোনও অসুবিধা নয়, শুধু লোডটা বাড়িয়ে নেবেন। দশটা এসি কিনুন, শুধু লোডটা বাড়িয়ে নিন। আমাদের আধিকারিকদের বলুন সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে দেবেন। শুধু দেখবেন একজনের জন্য় যেন কয়েকজনের সমস্যা না হয়।
সেই সঙ্গেই মন্ত্রী বার বার বলেন, বিদ্যুতের কোথাও কোনও অভাব আমাদের নেই। তিনি বলেন, এখানে তো ওয়ার্ক কালচার ছিল না। সেটা ফিরিয়ে এনেছি। এখানে তো এখন ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ হয়। সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
(Feed Source: hindustantimes.com)