পড়ুয়াদের পুষ্টি ঘটাতি মেটাতে মিড ডে মিলে আমলকী দেওয়ার প্রস্তাব রাজ্যের

পড়ুয়াদের পুষ্টি ঘটাতি মেটাতে মিড ডে মিলে আমলকী দেওয়ার প্রস্তাব রাজ্যের

মিড ডে মিলের রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারইমধ্যে এবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব দিল রাজ্য। গোয়ায় জাতীয় আয়ুষ মিশন কনফ্লেডে অংশ নিয়ে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের আরও পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের তরফে সরকার তিনজন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবে তাঁরা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের আমলকী, গুলঞ্চের মোরব্বা এবং রেশন দোকানে অশ্বগন্ধার মতো ইমিউনিটি বুস্টার দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা বাড়তি পুষ্টি পাবে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, আয়ুষসচিব বৈদ্য রাজেশ কোর্টেচা প্রমুখ। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ড. শ্যামল মণ্ডল, রাজ্যের আয়ুর্বেদ অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ঘোষ এবং প্রোগ্রাম অফিসার শশীশেখর সীতাংশু। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক। আলোচনা সভায় বাংলায় আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথির পরম্পরা এবং যোগচর্চা নিয়ে ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। ড. যামিনীভূষণ রায় এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁরা বলেন, তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা হওয়া সত্ত্বেও আয়ুর্বেদ চর্চা করতেন। তিনিই প্রথম দেশে আয়ুর্বেদ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথি কলেজ এই কলকাতাতে স্থাপিত হয়েছিল বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বাংলার একাধিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের অবদানের কথা তাঁরা তুলে ধরেন।

দেবাশিস বাবু জানান, আমলকী যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তেমনি ভিটামিন সি–এর অন্যতম উৎস হল আমলকী। পড়ুয়াদের তা দেওয়া হলে দারুন উপকার হবে। তাছাড়া রেশনের দোকানে অশ্বগন্ধা, শতমূলী প্রভৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাব শুনে মন্ত্রী থেকে সচিব সকলেই প্রশংসা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, এবার গরমে অতিরিক্ত ছুটির কারণে পড়ুয়াদের পুষ্টি ঘাটতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় জঙ্গলমহল, সুন্দরবন এবং ডুয়ার্স এলাকায় পড়ুয়াদের আগামী ৪২ সপ্তাহ অতিরিক্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সপ্তাহে একদিন ডিম অথবা ফল বা দুটি দেওয়া হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)