বিড়ি বেঁধেই চলত পড়াশোনার খরচ! NEET-তে চমকপ্রদ রেজাল্ট মহম্মদ রসুলের

বিড়ি বেঁধেই চলত পড়াশোনার খরচ! NEET-তে চমকপ্রদ রেজাল্ট মহম্মদ রসুলের

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। আর এই এলাকাই এবার চমক দিল নিট পরিক্ষায়। সর্বভারতীয় ডাক্তারী প্রবেশিকা পরীক্ষায় চমকপ্রদ সাফল্য করলেন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বিড়ি শ্রমিক পরিবারের মোহাম্মদ রসুলের। সম্প্রতি প্রকাশিত নিট পরীক্ষায় ৬৭০ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে ২৮১৬ র‍্যাঙ্ক করেছেন তিনি।

মোহাম্মদ রসুলের সাফল্যের খবর আসতেই আনন্দের জোয়ার সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামপুর গ্রামের পরিবারে। খুশি শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরাও। মা বিড়ি বেঁধে সংসার চালায়। ছেলের সাফল্য খুশি গোটা পরিবার।

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান এবং সোনাভান বিবির নয় সন্তানের মধ্যে সকলের থেকে ছোট মোহাম্মদ রসুল। ছোট থেকেই মেধাবী এই ছেলেকে আল আমিন মিশনে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। মেধাবী হওয়ায় অল্প খরচে হওয়ায় কার্যত বিড়ি বেঁধেই রসুলের পড়াশুনা চালাতেন বাবা আব্দুল মান্নান। আল আমিন মিশনে দিনরাত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করেই কার্যত এবছর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষাতে বসে। অবশেষে নিট-এ চমকপ্রদ সাফল্য করেন মোহাম্মদ রসুল।

পিছিয়ে পড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ রসুলের চমকপ্রদ সাফল্যে খুশির জোয়ার এলাকাজুড়ে। আগামী দিনে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়াশুনো করে তিনি সাফল্য পান। তিনি জানান পড়াশুনোর প্রতি একাগ্রতা ও মনোযোগ দিলেই সাফল্য পাওয়া যাবে সর্বভারতীয় স্তরে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষাতে।

(Feed Source: news18.com)