পুলওয়ামা : স্বপ্নের উড়ানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি দিনমজুরের কাজ। কঠোর পরিশ্রমের পর ১৯ বছরের কিশোর আজ অনেকটা ধাপ পেরিয়ে গেলেন ডাক্তার হওয়ার পথে। বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে কাশ্মীরের পুলওয়ামার উমর আহমেদ গনাই National Eligibility cum Entrance Test (NEET) পরীক্ষায় ৬০১ পেয়েছেন। সংসারের হাল ধরতে উমর পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন ছবি আঁকার কাজ করতে। সেখানেই খবর পৌঁছয় তাঁর সাফল্যের। তাঁর বাড়িতে এখন উপচে পড়েছ শুভার্থীদের ভিড়। ফুলের মালায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। আনন্দে পড়শিদের মিষ্টিমুখ করিয়েছেন উমরের পরিজনরা।
গত দু বছর ধরে রোজ ৬০০ টাকা মজুরিতে দিনমজুরের কাজ করছেন উমর। দিনে কাজ, রাত জেগে পড়া-এই ভাবেই কাটছিল দিন। বলেছেন, ‘‘খুব কঠিন সময় ছিল। সকালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতাম। রাতে পড়তাম। আমার কঠিন শ্রমের ফল আজ পেলাম।’’ সকলের প্রতি তাঁর পরামর্শ, পরিশ্রম করে যেতে। কারণ জীবনের শ্রম কোনওদিন বিফলে যায় না। একদিন না একদিন সুফল পাওয়া যাবেই।
একই রকম খুশির ছবি কুলগাঁও জেলায়। ইমাম সৈয়দ সাইয়াদের বাড়িতে উদযাপনের জোয়ার। তাঁর যমজ মেয়ে সৈয়দ তাবিয়া এবং সৈয়দ বিসমা পরীক্ষায় যথাক্রমে ৬২৫ এবং ৫৭০ পেয়েছেন নিট-এ।
তাবিয়ার কথায়, ‘‘আমার এই সাফল্যে খুবই খুশি। আনন্দ আরও বেড়ে গিয়েছে যখন দেখলাম বোনও এত ভাল ফল করেছে।’’ বিসমা আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা দুই বোনই ভাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন। বলেছেন, ‘‘রেজাল্টের আগে আমি খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন যখন রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে, আর সেখানে আমরা দুজনেই উত্তীর্ণ, আমাদের বাবা মা অত্যন্ত আনন্দিত।’’