সারা দেশ যখন গরমে পুড়ছে, ঠিক তখনই তেলেভাজা সহযোগে বর্ষা উপভোগ করছে পশ্চিম রাজস্থান। শুনতে অবাক লাগলেও ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে ঠিক এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর রাজস্থানে ঝড়বৃষ্টির সময় বিক্রি হয়েছে ১ কোটি টাকার তেলেভাজা মির্চি বড়া।
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামই দেওয়া হয়েছিল বিপর্যয়। সেই ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম রাজস্থানে। সেই আনন্দে যোধপুরে খাদ্যপ্রেমীরা ১ কোটি টাকার লঙ্কার বড়া খেয়ে ফেলেছেন। যোধপুরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয় তেলেভাজা, আর সকাল থেকেই সেই সব দোকানে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন ক্রেতারা।
আসলে অন্য পশ্চিমি জেলাগুলির তুলনায় যোধপুরে বৃষ্টির দাপট একটু কম ছিল। কিন্তু আবহাওয়া ছিল মনোরম। টানা ৪-৫ দিন আকাশ ঢেকে ছিল মেঘের ছাউনি। ঝিমঝিম বৃষ্টিও সঙ্গী।
মির্চি বড়া যোধপুরে বিশেষত্ব। এই বিশেষ তেলেভাজায় প্রায় ৭০ ধরনের মশলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যোধপুরে এমন কিছু মিষ্টির দোকান রয়েছে যেখানে এই বড়া অতি বিখ্যাত, বর্ষায় লাইন দিয়ে তেলেভাজা কিনে নিয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা।
চার-পাঁচ গুণ বেশি বিক্রি:
যোধপুরের মির্চি বড়া এমন সুস্বাদু, যে বৃষ্টি হলেই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েন তার জন্য। বিপর্যয়ের সময়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং তেলেভাজা ব্যবসায়ীরা লাভ করেছেন দেদার। অন্য দিনের তুলনায় ঝড় বৃষ্টির সময় প্রায় চার-পাঁচগুণ বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানদারেরা।
বিদেশেও মির্চি বড়ার নামডাক:
শুধু রাজস্থান নয়। সারা দেশে, এমনকী বিদেশেও যোধপুরের মির্চি বড়ার কদর রয়েছে। এর আগে থর এক্সপ্রেসের মাধ্যমে মির্চি বড়া পাকিস্তানে রফতানি করা হত। এখন তো অনলাইন ব্যবসাও হয়। আর তারপর থেকেই সারা বিশ্বে মির্চি বড়ার চাহিদা বেড়েছে। যোধপুর থেকে অনেক দেশেই রফতানি করা হচ্ছে এই বিশেষ তেলেভাজা। বিপর্যয়ের ধারাপাতে সেই লাভ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যোধপুরের জনতা সুইট হোম, পারিহার সুইট হোম, সূর্য নামকিন, অরোরা সুইট হোমের বাইরে সকাল থেকে দেখা গিয়েছে ক্রেতার সারি।