ত্রিপুরা: ‘প্লাস্টিক মুক্ত করতে হবে ত্রিপুরাকে’ রথযাত্রার পূন‍্যলগ্নে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

ত্রিপুরা: ‘প্লাস্টিক মুক্ত করতে হবে ত্রিপুরাকে’ রথযাত্রার পূন‍্যলগ্নে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

ত্রিপুরা: নেশামুক্ত ত্রিপুরার মতো রাজ্যের সৌন্দর্য রক্ষায় প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্যেই প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হবে। মেলাঘরে ৯ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী মেলাঘর রথযাত্রা মেলা ও উৎসবের সূচনা করে এই ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। আমাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি সংস্কৃতি ও পরম্পরা নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আগামীদিনেও সেটা ধরে রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মকেও এই ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে তুলতে হবে।’’

রথযাত্রা মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,‘‘ বর্তমান সরকার মেলাঘরে অবস্থিত নীরমহলকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে প্রত্যেককে আরও যত্নবান হতে হবে।’’ সম্প্রতি, ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি এই পর্যটন স্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু নীরমহলের আশপাশে প্লাস্টিক ও আবর্জনা প্রত্যক্ষ করে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি এই বিষয়টি আমার নজরে এনেছেন। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নেশা মুক্ত ত্রিপুরার মতোই রাজ্যের সৌন্দর্য রক্ষায় প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হবে। রাজ্য সরকার খুব সহসাই ‘প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মেলাঘরের রথযাত্রা শুধু ত্রিপুরাতেই নয়, দেশের অন্য প্রান্ত এবং প্রতিবেশী দেশেও এর খ্যাতি রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হয় এখানে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মেলাঘরের রথযাত্রা দেখতে প্রতি বছর এই জায়গায় আসেন। আমাদের রাজ্য শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।

কিছুদিন আগে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়ার সুযোগ হয়। সেখানে না গেলে তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায় না। এনিয়ে আমাদের গর্ববোধ হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার তাৎপর্য তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে যান। বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এরমধ্যেও সবসময় তিনি ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠ ও ভক্তি তুলে ধরেন। যা খুবই শিক্ষণীয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে আগে নাস্তিকতার সংস্কৃতি ছিল। কিন্তু এখন আমরা ধীরে ধীরে নাস্তিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতা গ্রহণ করছি। মেলাঘরের মানুষ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। আমরা বিশ্বাস করি যে ভগবান প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বিরাজ করছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’’

(Feed Source: news18.com)