আবার মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল ইডি, অনুপ মাজিরও ডাক পড়ল নয়াদিল্লিতে

আবার মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল ইডি, অনুপ মাজিরও ডাক পড়ল নয়াদিল্লিতে

কয়লা পাচার কাণ্ডে আবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁর কাছ থেকে তথ্য জানতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। আগে তাঁর কাছ থেকে সময় নিয়ে তবেই তলব করেছিল ইডি। তখন হাজিরা এড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রাজ্যে। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই তিনি নয়াদিল্লি যেতে পারছেন না বলে ইডি–কে‌ জানিয়েছিলেন। আজ, শুক্রবার আবার মলয় ঘটককে নয়াদিল্লিতে গিয়ে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।

তবে এবারও তিনি ইডির ডাকে সাড়া দেবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি। গত ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ১৫ তারিখ তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সেটা তিনি এড়িয়ে যান। এবার আবার তাঁকে তলব করল ইডি। আগেও বেশ কয়েকবার হাজিরা এড়িয়েছেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। এই হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে এবার ২৬ জুন মলয় ঘটককে নয়াদিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে অনুপ মাজি ওরফে লালাকেও তলব করল ইডি। এই লালা সরাসরি কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত বলে দাবি ইডির। তাই তাঁকেও তলব করা হয়েছে। তবে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের তলবের পরই লালাকে ডাকা হয়েছে। সুতরাং কয়লা পাচার কাণ্ডে জাল গুটিয়ে আনতে চাইছে ইডি। তাই এই তৎপরতা। আগামী ২৯ জুন অনুপ মাজি ওরফে লালাকে নয়াদিল্লিতে তলব করেছেন ইডির অফিসাররা। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মলয় ঘটকের বাড়ি–সহ তাঁর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা। তারপর আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয় ঘটক একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তাই তাঁকে তলব করতে হলে সময় দিতে হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে এক্ষেত্রে মলয় ঘটক সময় পেলেন না বলেই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রীকে ডাকা মানে সময় নষ্ট করা। তার থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ইডির সঙ্গে দেখা করতে চান মন্ত্রী মলয় ঘটক বলে সূত্রের খবর। মার্চ মাসের শেষে কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে নয়াদিল্লিতে তলব করে ইডি। তখন ডাকা হয়েছিল তাঁর আপ্ত সহায়ককেও। কিন্তু সেদিন হাজিরা এড়িয়ে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী। তারপর সরাসরি তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রীকে মৌখিক রক্ষাকবচ দেয় আদালত। দ্বিতীয় দফায় সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বেড়ে হয় ২৬ এপ্রিল। তারপর আবার আরও ১৪ দিনের জন্য স্বস্তি পান মলয় ঘটক।

(Feed Source: hindustantimes.com)