হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, কোন বয়সী মেয়েদের চাহিদা বেশি দেখে পুলিশ থ!

হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, কোন বয়সী মেয়েদের চাহিদা বেশি দেখে পুলিশ থ!

কলকাতা:  বহু আগে থেকেই কলকাতার বিভিন্ন হোটেল গেস্ট হাউসের বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। ইদানিংকালে নাবালিকাদের দিয়ে মধুচক্র চালানোর প্রবণতা বাড়ছে। কারণ এই ধরনের নাবালিকা মেয়েদের জন্য নাকি খরিদ্দাররা অনেক বেশি টাকা দেয়। সেই কারণেই এই দেহ ব্যবসা চালানোর পান্ডারা নাবালিকা খোঁজে।

মাস খানেক আগে, হরিদেবপুর থানা এলাকায় নিজের নাবালিকা মেয়েদের দিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল মা।এবারও মধুচক্র থেকে দুটি নাবালিকা মেয়ে ধরা পড়ল, কসবা থানা এলাকায়।  ২১ জুন রাত্রিবেলা কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রফিকিং ইউনিটের কাছে খবর আসে, কসবা থানা এলাকার ‘টাইগার ইন’ নামে একটি হোটেলে মধুচক্রের আসর বসছে। সেই খবর পাওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশরা কসবা থানা এলাকার টেগর পার্কে লস্কর হাট এলাকায় ‘টাইগার ইন’ নামে হোটেলে তল্লাশি চালায়।

ওই হোটেলের ৩০৩ এবং ৩০৪ নম্বর রুমে যখন পুলিশ ঢুকে পড়ে ,তখন দেখতে পায় চারজন মহিলার মধ্যে দুটি দুটি মেয়ে নাবালিকা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গোয়েন্দা পুলিশদের কাছে সম্পূর্ণ বিষয় পরিষ্কার হয়।  জিজ্ঞাসাবাদ করার পর চক্রের দুই মহিলা পান্ডা ,গার্ডেনরিচের এক মহিলা এবং বারাইপুর থানার মল্লিকপুরের আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই চক্রের সঙ্গে মূলত জড়িত ওই হোটেলের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রাকেশ মণ্ডল। তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকা দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। সঙ্গে ওই তিন পান্ডাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।  সূত্রের খবর ওই হোটেলটিতে প্রতিদিনই এইরকম মধুচক্রের আসর বসে। টেগর পার্ক এলাকাতে বেশ কিছু হোটেল গেস্ট হাউস গজিয়ে উঠেছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সন্দেহের তালিকায়।

তবে ওই টাইগার ইন থেকে পুলিশ বেশ কিছু টাকা, কনডোম ও মদের বোতল উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারের পর,ওই তিনজনকে পুলিশ আলিপুর আদালতে তোলার পর ২৮ শে জুন পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  তবে এরা এইরকম নাবালিকাদের দিয়ে ,ওরা আর কোথায় কোথায় মধুচক্র চালায় সেটারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

(Feed Source: news18.com)