কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইকে জেলের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলে কী করেন? তাঁর গতিবিধি কেমন থাকে সেখানে? সেইসব তথ্য জানতে চেয়ে সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাই সিবিআইকে জেলের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজের কপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আজ, শুক্রবার সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে জানাল, জেলের ভিতর থেকে সমস্ত ফুটেজ সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এদিকে কুন্তল ঘোষ যে চিঠি লিখেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারবে সিবিআই। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ তলব করেছিলেন। সেই ফুটেজ আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা ছিল। প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম বলতে তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। আর আজ সিবিআইয়ের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ জুলাই। তার মধ্যে ফুটেজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিবিআইকে। আজ কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে সিবিআই, ‘জেলের সমস্ত ফুটেজ এসে গিয়েছে।’
অন্যদিকে কুন্তল ঘোষ নিম্ন আদালতের বিচারক এবং হেস্টিংস থানাকে সরাসরি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে। কুন্তল ঘোষ যেদিন এই কথা প্রথম সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন ঠিক তার আগের দিন শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক বলেছিলেন, সারদার সময়ে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকেও সিবিআই তাঁর নাম বলতে চাপ দিয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার পর জেলের ফুটেজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে সিবিআই। তাতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ সেইসব ছবি সিবিআইয়ের হাতে এসেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে চিঠি কুন্তল লিখেছেন নাকি অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়েছেন। তারপর বাকি কথা হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এখন দেখার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কোন তথ্য পায় সিবিআই। এমনকী দেখার বিষয় এটাও আগামী ১৪ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই ফুটেজ পরীক্ষা করে কী রিপোর্ট দেয়। কারণ অভিযোগ ওঠে, এই চিঠি কুন্তল ঘোষ নিজে লেখেননি। তিনি কাউকে দিয়ে লিখিয়েছেন। তাহলে সেটা কে লিখেছে? সত্য জানতেই এখন ভরসা সিসিটিভি ফুটেজ।
(Feed Source: hindustantimes.com)