উপকূলীয় আবহাওয়ায় বিদেশি ফলের চাষ! অসাধ্য সাধন করে দৃষ্টান্ত গড়ছেন এই যুবক!

উপকূলীয় আবহাওয়ায় বিদেশি ফলের চাষ! অসাধ্য সাধন করে দৃষ্টান্ত গড়ছেন এই যুবক!

কর্ণাটক: এক এক জায়গায় এক এক ধরনের ফসল হবে, সেটাই নিয়ম। কিন্তু প্রথাগত ফসল চাষের পাশাপাশি বিকল্প চাষেও আজকাল লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। বিদেশি ফলের চাষ করেও আয় বাড়িয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। তেমনই ছবি ধরা পড়ছে কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলায়।

মাঠের ভিতর চোখ রাখলেই দেখা যায় সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে গোলাপি গোলাকার ফল, যা ভারতীয় চোখে খুব চেনা দৃশ্য নয়। আসলে শিরালির মাটিতে ফলছে ড্রাগন ফ্রুট।

অনেক চ্যালেঞ্জ সামলেও উপকূলীয় মাটিতে সাফল্যের সঙ্গে জন্মাচ্ছে ড্রাগন ফ্রুট। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন ভাটকল তালুকের কৃষক অনিল নায়েক। তাঁর সাফল্যের গল্প অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে যেকোনও কৃষককে।

অনিলের জমিতে প্রথম বার ড্রাগন ফ্রুট জন্ম নিয়েছে। উপকূলীয় এলাকার আবহাওয়া, মাটির পরিস্থিতি এমনিতেই অন্য জায়গার তুলনায় আলাদা। তার উপর বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে খানিকটা চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দেশের মাটিতে ড্রাগন ফ্রুট ফলিয়ছেন অনিল।

অনিল জানান, তাঁর প্রায় ২ একর জমিতে এক সময় বাবলা ঝোপ ছিল। সেই বাবলার গাছ সাফ করে তিনি ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার কথা ভেবেছিলেন। আর সামান্য পরিশ্রম করতেই ফলও ধরেছে সেই গাছে।

কিন্তু এই কাজ প্রাথমিক ভাবে দুঃসাহসই মনে হয়েছিল সকলের কাছে। কারণ, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এমন চাষ তিনি করছিলেন যাতে অসফল হওয়ার আশঙ্কা ছিল পুরোমাত্রায়। কিন্তু অনিলের একাগ্রতায় তাঁর বাগানে ড্রাগন ফ্রুটের ফলন বাড়ছে। এখন এক একর এলাকার গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। পুরো মাঠটি দেখলে মনে হচ্ছে যেন গোলাপি বলের রাশি।

কঠোর পরিশ্রম করে মাঠ পরিষ্কার রাখেন অনিল। এই জমিতে তিনি কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। বরং সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছেন তিনি। ফলন এতই ভাল যে, বর্তমানে স্থানীয় ভাবে পাইকারি দামে ফল বিক্রি করে আয় করছেন।

অনিলের সাহসকে দৃষ্টান্ত করে অনেকেই এই ফল চাষের কথা ভাবছেন।

(Feed Source: news18.com)