
ধনীদের হরেক রকম নতুন নতুন আজব শখের কথা হামেশাই শোনা যায়। কোনও কিছু পছন্দ হলে তা দামের তোয়াক্কা না করেই কিনে ফেলার প্রবণতাও দেখা যায় বহু ধনী মানুষের মধ্যে। তবে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, যিনি যত ধনী, তাঁর শখও তত বড় আর ব্যয়বহুলও বটে। এখানেই শেষ নয়, বেশির ভাগ কোটিপতি মানুষ পোশাক-আশাক আর অ্যাকসেসরিতেই সবথেকে বেশি ব্যয় করে থাকেন। এর সঙ্গে অবশ্য ঘোরা-ফেরা, আনন্দ-ফূর্তি তো আছেই। এর পরে অবশ্য দেখা গিয়েছে কিছু অভিনব শখও। যেমন – গয়নাগাঁটি কেনা কিংবা যানবাহন কেনা। তবে আজ বড়লোকদের এক আজব শখের বিষয়ে কথা বলা যাক। যা শুনলে চক্ষু রীতিমতো ছানাবড়া হয়ে যাবে।
আজ কথা বলা যাক একটি সুপারইয়টের বিষয়ে। যেখানে শুধু ধনীরাই ভ্রমণ করতে পারেন। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সুপারইয়টের কর্মী মেক্সিকোর গিজেল এজুয়েটা এই বিষয়ে কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন। ৩৯ বছর বয়সী গিজেল ওই সুপারইয়টের অভ্যন্তরীণ অংশের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সুপারইয়টে বিশ্বের কোটিপতিরা ভ্রমণ করে থাকেন। গিজেল আরও বলেন, “এমনিতে এই কাজটা আমার করতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু কিছু ধনী মানুষ মাঝেমধ্যে এমন দাবিদাওয়া নিয়ে আসেন যে মেজাজটাই বিগড়ে যায়।” এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথাও বর্ণনা করেন তিনি। গিজেল বলেন, এক বার এক বিশাল মাপের ধনী মানুষ ইয়টের এক জন কর্মচারীকে বলেন যে, তাঁকে একটি কাচের টেবিলে শুয়ে মলত্যাগ করার অনুমতি দিতে হবে। এর জন্য তিনি ১০,০০০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৮ লক্ষ টাকাও প্রদান করবেন। তবে সেই আজগুবি শখের জন্য ওই ধনী ব্যক্তি অনুমতি পেয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়টা অবশ্য খোলসা করেননি গিজেল।
এখানেই শেষ নয়, এক জন কোটিপতি মহিলা আবার ইয়টের এক কর্মীর কাছে আজব আবদার করেছিলেন। ওই মহিলা জানান, তিনি যখন ডিনার করবেন, সেই সময় যেন ওই কর্মী তাঁর দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকেন। তাঁর সেই আবদার অবশ্য পূরণ হয়েছিল। মহিলা যখন রাতের খাবার খাচ্ছিলেন, এক কর্মী রান্নাঘরের পাশে এক কোণে দাঁড়িয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তাকিয়েছিলেন তাঁর দিকে। গিজেল বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে না বলার কোনও জায়গাই নেই, সে কোনও যাত্রী যতই আজগুবি দাবিদাওয়া রাখুন না কেন। তবে শারীরিক সম্পর্কের আবদার রাখলে তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। এমনকী, স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কোনও আবদার এলেও তা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।”