আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চে রাজ্যের শিক্ষকের বিরাট স্বীকৃতি

আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চে রাজ্যের শিক্ষকের বিরাট স্বীকৃতি

পূর্ব বর্ধমান: তিনদিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই মঞ্চেই বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত হলেন পূর্ব বর্ধমানের এক শিক্ষক। ২২-২৪ জুন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা।

সম্মেলনের প্রথম দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিশেষ সম্মান পান কাঞ্চননগর ডি এন দাস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত। ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি নামে এক সংস্থা তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়। জীববৈচিত্রের উপর বিগত দশক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় যে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি তারই স্বীকৃতি স্বরূপ বায়োডাইভারসিটি এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয় এই প্রধান শিক্ষককে।

নিজের কাজের জন্য এর আগে সুভাষবাবু জুলজিক্যাল সোসাইটি রেডক্রস, ক্লাব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স পত্রিকা, মারকুইস লাইফ টাইম আচিভমেন্ট, জাতীয় শিক্ষক, শিক্ষারত্নের মতো অজস্র পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ গবেষণা পুরস্কার আর্টিকেল অফ মেরিট সম্মানও পেয়েছেন সুভাষচন্দ্র দত্ত।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রকাশিত হয় গুরুত্বপূর্ণ দেড়শো’টির‌ও বেশি প্রবন্ধ। এর মধ্যে সুভাষচন্দ্র দত্তর তিনটি প্রবন্ধ‌ও আছে। যেগুলির বিষয় পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র বাঁচিয়ে রেখে সবুজ প্রযুক্তি কীভাবে কাঞ্চননগরের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নত করতে পারে, খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে এই বিষয়গুলির উপর।

কাঞ্চননগর ডি এন দাস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত তাঁর গোটা কাজটাই মূলত পরিবেশ ও বাস্তবতন্ত্রের উপর করে গিয়েছেন। তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র ও প্রবন্ধে তিনি পরিষ্কার বলেছেন, পরিবেশকে বাদ দিয়ে কোন‌ও কিছু হতে পারে না। তাতে এই মানব প্রজাতি টিকবে না। পরিবেশ নিয়ে সেই অসামান্য কাজেরই আরও এক স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

(Feed Source: news18.com)