প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ, ইজিপ্টে ৪,০০০ ভারতীয় সৈনিককে শ্রদ্ধা জানালেন মোদী

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ, ইজিপ্টে ৪,০০০ ভারতীয় সৈনিককে শ্রদ্ধা জানালেন মোদী

আমেরিকা সফরের পরেই ইজিপ্টে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। নানা কর্মসূচির মধ্যেই হেলিয়োপোলিস  যুদ্ধ কবরস্থানে এলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শ্রদ্ধা জানালেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া ৪,০০০ ভারতীয়কে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইজিপ্ট ও প্যালেস্তাইনে প্রায় ৪,০০০ ভারতীয় সৈনিক প্রাণ হারান। তাঁদের উদ্দেশ্যেই শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, হেলিয়োপোলিসের কবরস্থানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মর্মান্তিক স্মৃতিও রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারানো ১,৭০০ সৈনিকের সমাধি প্রস্তর রয়েছে সেখানে। হেলিয়োপোলিসের যুদ্ধ স্মারক আরও বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তবে ভারতীয় সৈনিকদের স্মারকটি রয়েছে তিফিক বন্দরে। ১৯২৬ সালে এই বিশেষ স্মারক সমাধিস্থান তৈরি করা হয়। গত বছর অক্টোবরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও হেলিয়োপোলিসে এসেছিলেন। শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

হেলিয়োপোলিস যুদ্ধ কবরস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মর্মান্তিক ইতিহাস। নিহত ভারতীয় সৈনিক ছাড়াও এখানে বিশ্বযুদ্ধে অন্যান্য সৈন্যদের সমাধিও রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধ কবরস্থান নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯২৬ সালে। তিফিক বন্দরের এই বিশেষ সমাধি সুয়েজ খালে ঢোকার মুখেই নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য এই নামে তিফিক বন্দরকে চেনা মুশকিল। তিফিক বন্দরের নাম পালটে নতুন নাম রাখা হয়েছে সুয়েজ বন্দর। এই কবরস্থানের উপর দিয়েও বয়ে গিয়েছে ঝড়-ঝাপটা। ১৯৬৭ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে মিশরের লড়াইয়ে এই সমাধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকটাই। এর পরেই একটি নতুন সমাধিস্থান তৈরি করা হয়। ১৯৮০ সালে হেলিয়োপোলিস কমনওয়েলথ যুদ্ধ কবরস্থানে সেই স্মারক প্রতিষ্ঠিত হয়।

তবে প্রথম স্মারক সমাধিতে কোনও ভারতীয় সৈনিকদের নাম লেখা ছিল না। ছিল শুধু মাঝ বরাবর একটি স্তম্ভ। আর তার দুই পাশে দু’টি সিংহ। সিংহ দুটি পরস্পরের দিকে গর্জনরত অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে তৈরি স্তম্ভটিতে অবশ্য ভারতীয় সৈনিকদের নাম রাখা হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কী ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় সৈন্যরা? ইতিহাসবিদদের কথায়, সেই সময় মিশর ও প্যালেস্তাইনে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বাণিজ্যের প্রধান জলপথ সুয়েজ খালও রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় সৈনিক। এছাড়াও, হাফিয়ার যুদ্ধেও লড়েছে সেইসব সৈনিক। এই যুদ্ধের স্মারক সমাধি দিল্লিতে তৈরি হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)