দ্বারভাঙা প্রাসাদ, এটিই ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত

দ্বারভাঙা প্রাসাদ, এটিই ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত

এক সময় দেশের অন্যতম ধনী রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিল দ্বারভাঙা মহারাজের রাজ্য। এই রাজ্যের রাজকীয়তার সুনামের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বেই। আর আমাদের দেশের পিছনে দ্বারভাঙা মহারাজেরও অনেক অবদান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল দ্বারভাঙা মহারাজের বিখ্যাত মহল বা প্রাসাদ। যার নাম নরগোনা প্যালেস। কথিত রয়েছে যে, এটাই ছিল দ্বারভাঙা মহারাজের শেষ প্রাসাদ। কিন্তু ভারতের এই প্রাসাদও দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। ১৯৩৪ সালে ভূমিকম্পের পরেই এই প্রাসাদ বানানো হয়েছিল। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল।

ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রাসাদ:

এখানে একটি ছাত্র নিবাস মহল ছিল। ১৯৩৪ সালের ভূমিকম্পের কারণে ছাত্র নিবাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে দ্বারভাঙার মহারাজ কামেশ্বর সিং এখানে নরগোনা প্যালেস নির্মাণ করিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, এটিই ছিল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রাসাদ। এই প্রাসাদে সেন্ট্রালাইজড এসি লাগানো হয়েছিল। যা আজকাল প্রতিটি বড় বড় হোটেলে দেখা যায়। এর জন্য প্রাসাদের প্রতিটি অংশ সমান ভাবে ঠান্ডা হত।

হুবহু প্রজাপতির মতো নকশা:

এই প্রাসাদের নকশা তৈরি করা হয়েছিল হুবহু প্রজাপতির মতো। এই বিষয়ে রাজপরিবারের পরিচিত সন্তোষ কুমার বলেন যে, দ্বারভাঙা মহারাজ দানবীর হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁর দানশীলতার কথা লোকের মুখে মুখে ফিরত। এখানেই শেষ নয়, মহারাজের চিন্তাভাবনা সেই যুগে অত্যন্ত আধুনিক ছিল বলেই মনে করা হয়। কারণ দ্বারভাঙার প্রাসাদ তৈরির কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী দেশে প্রথম বারের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এমন আধুনিক চিন্তাধারার প্রাসাদ ভারতের বুকে প্রথম বার স্থাপিত হয়েছিল।
আসলে এই নরগোনা প্যালেসের অন্যতম বিশেষত্ব হল, এখানে সেন্ট্রালাইজড এসি লাগানো রয়েছে। যেগুলো আজকের যুগে বড় বড় হোটেলে ব্যবহার করা হয়। প্রখর গরমে গোটা প্রাসাদ আরামে ঘুরে দেখা যাবে। এখানেই শেষ নয়, আরও অনেক বিশেষত্ব রয়েছে এই নরগোনা প্যালেসের।

(Feed Source: news18.com)