কলকাতা: লাগাতার আন্দোলনের চাপেই কি তবে পিছু হটল বিশ্ববিদ্যালয়? বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুশাসন বজায় রাখতে প্রস্তাবিত কোড অফ কন্ডাক্ট নিয়ে এবার পুনর্বিবেচনার পথে হাঁটতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে জারি হচ্ছে না কোনওরকম নয়া কোড অফ কন্ডাক্ট। এমনটাই দাবি বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের।
লাগাতার আন্দোলন চালানোর পরে সোমবার তাদের তরফে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। ডেপুটেশনে নিজেদের দাবি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, গবেষকদের মতামত সম্বলিত নথি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন তারা। এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সম্পাদক ঋষভ সাহা জানান, ” সবকটি কোড অফ কন্ডাক্ট পাল্টানোর পক্ষপাতী আমরা আদৌ নই, পরীক্ষা নেওয়া-সহ একাধিক অ্যাকাডেমিক বিষয়ে এই কোড অফ কন্ডাক্ট নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু এই কোড অফ কন্ডাক্টের বিশেষ কিছু পয়েন্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে নষ্ট করবে। ছাত্রছাত্রীরা রাজনীতি করলে কোন স্লোগান দেবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে দিতে পারে না। শালীনতার দোহাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রেম করা নিয়ে আপত্তি জানানো হচ্ছে, গার্জেন কল করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। আপাতভাবে তার মাধ্যমে কাউন্সেলিং করার চেষ্টা করা হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন সেই ছাত্রছাত্রীরা। কলেজজীবনে এক ছাত্র ছাত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী এই কোড অফ কন্ডাক্ট নিয়ে আমরা ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। “
ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরে এসএফআইয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, “সকাল বেলায় রিভিউ কমিটির কথা ডিন অফ স্টুডেন্ট বলেছিলেন। SFI Presidency University Unit এর লাগাতার আন্দোলনের চাপে অবশেষে পিছু হটলো অথরিটি।
তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন নতুন কোনও বিধি নিয়ে কোড অফ কন্ডাক্ট ইমপ্লেমেন্ট হচ্ছে না। পুরনো নিয়ম গুলো এক জায়গায় করে কোড অফ কন্ডাক্ট/স্টুডেন্ট ম্যানুয়াল বানানো হবে NAAC-এর জন্যে। তবে নতুন করে কোনও সামাজিক বিধিনিয়ম, কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না।”