প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যেমন অনেক সুবিধা হয়েছে। তেমনি বেড়ে চলেছে জালিয়াতির সংখ্যা। অনলাইন লেনদেনের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কাও। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড থেকে দুই সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে গোপালগঞ্জ থানার পুলিশ। এরা বিহারে সক্রিয় ছিল। কোভিডের বুস্টার ডোজ রেজিস্ট্রেশনের অজুহাতে ফোন করে প্রতারণা করা হত।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজন, এমন অজুহাতে ওটিপি পাঠিয়ে তা জানতে চাওয়া হত। ওটিপি বলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিত প্রতারকরা। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে মোবাইল ও আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে একজন ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বেঙ্গাবাদ থানার অন্তর্গত মুন্দ্রাডিহ গ্রামের বাসিন্দা রাহিস আনসারি। অন্যজন লাতেহার জেলার বারিয়াতু থানা এলাকার শ্রীসামাদ গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত গাঁঝু। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই দুজনে বুস্টার ডোজের নামে ফোন করে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গিরিডি সদরের এসডিপিও প্রাঞ্জল জানান, সাইবার থানা খোলার পর ৯ জুন মীনা দেবী নামে এক মহিলা প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, বুস্টার ডোজ রেজিস্ট্রেশনের নামে ৪৮ হাজার টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগ, অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ওটিপি দিতে বলে। ওটিপি দেওয়া মাত্রই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যায়।
এসডিপিও বলেন, টেকনিক্যাল সেলের সহায়তায় দ্রুত ওই সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা উভয় সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করে গোপালগঞ্জে আনা হয়েছিল।
সাইবার অপরাধীরা কোভিডের বুস্টার ডোজ রেজিস্ট্রেশনের নামে প্রথম বিভিন্ন শিকারের কাছে বার্তা পাঠায়। তারপর ওই বার্তার মাধ্যমে শিকারের নাম, আধার নম্বর এবং অন্য তথ্য হাতিয়ে নেয়। এরপর মোবাইলে আসা ওটিপি নম্বরটি জিজ্ঞাসা করে নেয় সুযোগ বুঝে। বলা হয়, এই ওটিপি ব্যবহার করেই বুস্টার ডোজ রেজিস্ট্রেশন হবে।
করোনার অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও সাইবার অপরাধীরা রেমডেসিভির-সহ চিকিৎসার নামে গোপালগঞ্জ ও অন্য জেলার বহু মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ।