ক্রিপ্টো প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন যুবক,৩.৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে দিল কলকাতা পুলিশ

ক্রিপ্টো প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিলেন যুবক,৩.৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে দিল কলকাতা পুলিশ

প্রতারণার ফাঁদে প্রায় পা দিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলেন তিনি। অয়ন নামে ওই ব্যক্তি উত্তর কলকাতার বাসিন্দা।  বিট কয়েনে বিনিয়োগ করলে দ্রুত লাভ পাবেন এই আশায় তিনি প্রায় ৩.৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। আসলে একটি ফোন পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে ওই ব্যক্তি নিজেকে বিট কয়েনের কারবারী বলে পরিচিতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিট কয়েনে বিনিয়োগ করুন। প্রচুর লাভ পাবেন তিনি।

ওই ব্যক্তির কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা। ক্রিপটো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার নামে ফাঁদে পড়ে যান তিনি।

ফোন করা ব্যক্তির কথায় বিশ্বাস করেন তিনি। এরপর তিনি লাখ লাখ টাকা ঢেলে ফেলেন। কিন্তু কোথায় কী? এরপর অয়ন ওই ক্রিপটো কোম্পানিতে বার বার যোগাযোগ করেন। তারা জানান প্রথম দিকে যে টাকা দিয়েছিলেন সেটা ফেরৎ পাওয়ার জন্য আপনাকে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।

এরপর তিনি কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর পুলিশ জানতে পারে দিল্লির কোনও কোম্পানিতে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে। এরপর সাইবার সেল নর্থ ডিভিশন এনিয়ে তদন্তে নামে। ধীরে ধীরে সেই টাকা উদ্ধার করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই টাকা অয়নের অ্যাকাউন্টে ফেরৎ দেওয়া হয়। অবশেষে স্বস্তি পান তিনি। আর একটু হলেই তাঁর সেই টাকাও গায়েব হয়ে যেত।

তবে এর আগে অবশ্য এই বিট কয়েন প্রতারণার অভিযোগে মুম্বই পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল।

ধৃতের নাম ছিল সইদুল মোল্লা।বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা ফেরৎ পাওয়া যাবে বলে লোভ দেখাত সে। তাকে ফাঁদ পেতে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

 সূত্রের খবর, সইদুলের সোশ্য়াল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ফাঁদ পাতা শুরু করেছিল। সে সোশ্য়াল মিডিয়ায় মহিলা সেজে বন্ধু হিসাবে প্রথমে আলাপ জমাত। তারপরই তাদের বিটকয়েনে ইনভেস্ট করার জন্য টোপ ফেলত। ২২ বছর বয়সী এক ছাত্রী মুম্বইয়ের মাতুঙ্গা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর মুম্বই পুলিশ তদন্তে নামে।

পুলিশ জানতে পেরেছিল, ২৪ বছর বয়সী সইদুল নিজেকে মহিলা হিসাবে উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ পেতেছিল। সে বলা শুরু করেছিল বিট কয়েনের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করেছে। এনিয়ে সে লোভ দেখানো শুরু করে। এমনকী দু ঘণ্টায় টাকা ডবল হয়ে যাবে এমন কথাও বলেছিল সে।

এদিকে মুম্বইয়ের এক মহিলা এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। সব মিলিয়ে ৯৮,০০০ তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন। এদিকে আরও টাকা বিনিয়োগ করার জন্য় সে লোভ দেখাতে শুরু করে। আরও টাকা দাবি করতে থাকে সে। কিন্তু ওই মহিলা আর টাকা দিতে চাননি। তারপরই সইদুল তাকে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করে।

এরপর পুলিশ সোশ্য়াল মিডিয়ার আইপি অ্যাড্রেস, ফোনের সূত্র ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছিল।

(Feed Source: hindustantimes.com)