নয়া দিল্লি : টাইটানিকের পরিণতিই হয়েছে টাইটান-এর ! দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। কিন্তু, তাতেও হেলদোল নেই ওশানগেট-এর। নতুন করে টাইটানিক দর্শন-এর ব্যবস্থা করেই ফের ‘ভেসে উঠতে’ চাইছে সংস্থা (অনিশ্চয়তার মুখে সংস্থার ভবিষ্যৎ)। অন্তত, ওশানগেটে-এর নতুন বিজ্ঞাপন সেই জল্পনাই উস্কে দিচ্ছে। আবারও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। ওশানগেটের ওয়েবসাইটে চোখ বোলালেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরের বছরেই সমুদ্রের তলদেশে ফের উৎসুকদের নিয়ে ‘ডুব’ দিতে চাইছে ওশানগেটের ‘বাহন’। ১২ থেকে ২০ জুনের মধ্যে একবার দর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। পরেরটা ২১ থেকে ২৯ জুনের মধ্যে। যার জন্য গ্যাঁটের খরচ করতে হবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এই খরচের মধ্যে ধরে নেওয়া হচ্ছে- ডুবোজাহাজে করে সমুদ্রের নিচে যাওয়া, থাকার জায়গা, সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অভিযানের সরঞ্জাম এবং জাহাজে থাকাকালীন সমস্ত খাবার-দাবার।
অভিযানের প্রথম দিনেই, যাত্রীদের নিয়ে সেন্ট জন শহরের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে যাবে ওশানগেট। সেখানেই দেখা হয়ে যাবে জাহাজের ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে। এরপর নির্ধারিত যান-এ চাপিয়ে RMC টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। ৪০০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা জাহাজের ধ্বংসাবশেষের দিকে রওনা দেওয়ার সাথে সাথে যাত্রীরাও জাহাজ-জীবনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠবেন।
খবর অনুযায়ী, সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ আরবপতি হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডাইভিং এক্সপার্ট পল হেনরি নারগোলেট ও পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর কিশোর-পুত্র সুলেমান টাইনটানিকে ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিযান বন্ধ করে দেয় ওশানগেট। Independent-এর খবর অনুযায়ী, ‘টাইটান সাবমার্সিবল’-এর ধ্বংসাবশেষের যখন খোঁজ চলছিল, সেই সময়ই কোম্পানির তরফে সাব পাইলট পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যদিও এনিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে সেই বিজ্ঞপ্তি সরিয়ে নেওয়া হয় ওশানগেটের তরফে।
আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। সম্প্রতি সেই অভিশপ্ত টাইটানিক দর্শনে যায় ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ নামে একটি ডুবোজাহাজ। যার দৈর্ঘ্য ২২ ফুট। ওজন ১০ হাজার ৪৩২ কেজি। কিন্তু, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দর্শনে বেরিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের নীচে ‘সলিল সমাধি’ হন পাঁচ জন। আটলান্টিক থেকে তোলা হয় ডুবোজাহাজ ‘টাইটান সাবমার্সিবল’-এর ধ্বংসাবশেষ (Titan Submersible)। এখনও সেই ঘটনার রেশ পুরো কাটেনি !
(Feed Source: abplive.com)