এগারো ঘণ্টা জেরা সামলে ইডি দফতর থেকে বেরোলেন সায়নী, বললেন আবার ডাকবে, আবার আসব

এগারো ঘণ্টা জেরা সামলে ইডি দফতর থেকে বেরোলেন সায়নী, বললেন আবার ডাকবে, আবার আসব

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রায় ১১ ঘণ্টা ইডির জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। তার পর থেকে তাঁকে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গে কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে।

এদিন রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, ‘আমাকে কয়েকটা বেসিক ডকুমেন্ট নিয়ে ডাকা হয়েছিল। আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমাকে আবার ডাকবেন। কিছু নথির বিস্তারিত জমা দিতে হবে। আমাকে ১০০ বার ডাকলে আমি ১০০ বার আসব। আমাকে ২৪ ঘণ্টা জেরা করলেও আমি সহযোগিতা করব’। তবে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের প্রসঙ্গ এড়িয়েছেন সায়নী। ইঙ্গিতে জানিয়েছেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন হয়নি।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সায়নীকে তলব করে ইডি। তার পর ২ দিন সায়নীর খোঁজ পাননি সাংবাদিকরা। তৃণমূলের দাবি, তাদের সঙ্গেও সায়নীর কোনও যোগাযোগ ছিল না। তবে শুক্রবার সময়মতো সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তিনি। ঢোকার সময় জানান, ‘আমি ভোটপ্রচারে ছিলাম। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে আমাকে তলব করা হয়েছে। আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তাঁকে ইডির তলবের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।

ইডি সূত্রে খবর, সায়নীর কাছে চার পাতার একটি প্রশ্নমালা দেওয়া হয়। তার জবাব নিজে হাতে লিখে দিয়েছেন সায়নী। তবে সায়নীর অনেক জবাবই গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি গোয়েন্দাদের। বেলা আড়াইটে পর্যন্ত জেরার পর দুপুরের খাওয়ার জন্য সায়নীকে ৩০ মিনিট সময় দেন ইডির গোয়েন্দারা। বেলা ৩ থেকে ফের শুরু হয় জেরা। দ্বিতীয় দফার জেরা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এর পর সায়নীকে আরও কিছু প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। রাত ৮টা নাগাদ যাবতীয় নথি পাঠানো হয় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। রাত ১০টা নাগাদ জানা যায় বয়ান খতিয়ে দেখে আপাতত সায়নীকে গ্রেফতার করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এর পর জেরার অবশিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে সায়নীকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় ইডি।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়নী ঘোষের সঙ্গে কুন্তলের একাধিক লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনকী সায়নীর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ভাড়া দিতেন কুন্তল। কুন্তলের দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করতেন সায়নী। এমনকী দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাসবহুল আবাসনে সায়নীকে ৩টি ফ্ল্যাট জুড়ে ১টি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন কুন্তল।

(Feed Source: hindustantimes.com)