কোথা থেকে এল ফ্ল্যাট কেনার টাকা! ইডি-র গোয়েন্দাদের সামনে বিস্ফোরক সায়নী..

কোথা থেকে এল ফ্ল্যাট কেনার টাকা! ইডি-র গোয়েন্দাদের সামনে বিস্ফোরক সায়নী..

কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতায় দু’দুটো ফ্ল্যাট৷ একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা৷ অন্যটি ৩৫৷ একটি ফ্ল্যাট নিজের নামে থাকলেও অন্য ফ্ল্যাটটি রয়েছে মায়ের নামে৷ কোথা থেকে এসেছে এই ফ্ল্যাট কেনার টাকা? কী যোগাযোগ রয়েছে শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নীর৷ এই সব কিছু ঘিরেই এখন ইডির নজরে সায়নী৷

কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরে কুন্তল এবং সায়নীর বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রায় তখন থেকেই সায়নী ঘোষকে ঘিরেও শুরু হয় গুঞ্জন৷ এখন তদন্তকারীদের কাছে মূল যেটা প্রশ্ন, তা হল কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কি কোনও ভাবে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল সায়নী ঘোষের? সায়নীর কাছে কি কোনও ভাবে পৌঁছেছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই গত শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল সায়নীকে৷

গত শুক্রবার ব্যাঙ্কের নথি এবং আইটি রিটার্নের নথি নিয়ে সিজিও দফতরে হাজিরা দেন সায়নী ঘোষ৷ প্রায় ১১ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ঠিক কী কী তথ্য উঠে এসেছে? কী তথ্য জানাচ্ছে ইডি?

সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নী ঘোষের ব্যাঙ্কিং লেনদেনের কোনও হদিস এখনও পর্যন্ত পায়নি ইডি৷ সূত্রের দাবি, সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের নগদে লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। তবে সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ৷

ইডি সূত্রের খবর, সায়নীর দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে লোনে। ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ষাট লক্ষ টাকা লোন নিয়েছেন যুবনেত্রী। বাকি টাকা সেভিংসে ছিল বলেই ইডির কাছে দাবি করেছেন তিনি।

সূত্রের খবর, সায়নী ইডির কাছে দাবি করেছেন, “আমার যা সেভিংস রয়েছে, তা আমি অভিনয় করেই পেয়েছি।’’এমনকি, তাঁর দাবি, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর কোনও দিন কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি৷ কুন্তলের সঙ্গে নাকি সেভাবে পরিচয়ও নেই তাঁর। কুন্তলের কী কী আছে, তাঁর সঙ্গে কার যোগাযোগ ছিল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে ইডি-কে জানিয়েছেন সায়নী।

সায়নী ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটের মধ্যে অপর একটি ফ্ল্যাট তাঁর মায়ের নামে আছে। সেটার দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। সেটার ক্ষেত্রে অবশ্য ঋণের কথা জানা যায়নি। সেই ফ্ল্যাট কেনার নথি, এবং ফ্ল্যাট নগদে কেনা হলে, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়েছে ইডি। সেই নথি সায়নী সশরীরে বা আইনজীবী মারফত ইডি-র কাছে পাঠাতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

ছোট পর্দার প্রায় পরিচিত মুখ৷ বড় পর্দাতেও দেখা মেলে মাঝেমধ্যে৷ ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে ২০১৫ সালে সায়নীর করা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়৷ সেই সময়, তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে৷ এর কিছুদিন পরেই সায়নীর তৃণমূল যোগ৷ কিছুদিনের মধ্যেই দলীয় রাজনীতিতে রকেট গতির উত্থান৷ বর্তমানে যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন তিনি৷

(Feed Source: news18.com)