ফিরছে হিন্দুস্তান মোটর্স! হিন্দমোটরে তৈরি হবে ইলেকট্রিক স্কুটার, গাড়ি

ফিরছে হিন্দুস্তান মোটর্স! হিন্দমোটরে তৈরি হবে ইলেকট্রিক স্কুটার, গাড়ি

নবজন্ম হবে দেশের প্রথম গাড়ি নির্মাতা, হিন্দুস্তান মোটর্সের। শীঘ্রই নতুন করে ঘুরতে পারে সংস্থার চাকা। আর সেই যানবাহন তৈরি হবে হিন্দমোটরের বিখ্যাত কারখানাতেই।

বৈদ্যুতিক গাড়িই (EV) ভবিষ্যত। আর সেই দিকেই নজর সংস্থার। এ বিষয়ে একটি ইউরোপীয় ইভি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আপাতত ২-৩ মাস সময় লাগবে।

হিন্দুস্তান মোটর্সের ডিরেক্টর উত্তম বসু বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে, প্রকল্পটি দু-চাকার যান দিয়ে শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে চার চাকার গাড়িও চালু করা হবে।’

একটি যৌথ উদ্যোগের জন্য আলোচনা চলাকালীন, বোস সি কে বিড়লার মালিকানাধীন হিন্দুস্তান মোটরস (এইচএম) এ কোম্পানির অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।

যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসাবে ইউরোপীয় সংস্থাটি হিন্দুস্তান মোটর্সের অংশীদারিত্বও কিনতে পারে। সেই সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তমবাবু।

উত্তম বসু জানান, বর্তমান আলোচনা অনুযায়ী ৫১:৪৯ অনুপাতে যৌথ উদ্যোগের ভাবনা রয়েছে। যেখানে হিন্দুস্তান মোটর্সের ৫১% শেয়ার থাকবে। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, ইক্যুইটি প্যাটার্ন নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দমোটরের প্ল্যান্টেই উত্পাদন করা হবে। ২০১৪ সালে সেখানে ‘কাজ স্থগিত’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে সেই কারখানা বন্ধই রয়েছে।

হিন্দমোটরের প্ল্যান্টেই তৈরি হত আইকনিক অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। মরিস অক্সফোর্ড গাড়ির আদলে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এক সময়ে গাড়ি বলতে মানুষ অ্যাম্বাসাডরই বুঝত। ১৯৭০-এর দশকে ভারতে ৭৫% বাজার দখল ছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের। সেই সময়টাই ছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের সোনালী দিন।

এরপর মারুতি ৮০০-এর মতো সস্তা ও আধুনিক গাড়ি আসতেই ফিকে হতে থাকে অ্যাম্বাসাডরের জনপ্রিয়তা। পুরনো প্রযুক্তির কারণে ক্রমেই কমতে থাকে বিক্রি। একই সঙ্গে পতন শুরু হয় সংস্থার। এর পাশাপাশি বাম আমলে শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলনে জেরবার হয়ে যায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। ফলে থেমে যায় অ্যাম্বাসাডরের চাকা। ২০১৭ সালে, অ্যাম্বাসেডর ব্র্যান্ডটি Peugeot SA-এর কাছে ৮০ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়।

(Source: hindustantimes.com)